নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান ফনু (৫৯) হত্যা মামলার রায়ে ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম আহমেদ খলিলুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
একইসঙ্গে আদালত দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে ৮ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। তবে ৭ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন: ফরিদুল ইসলাম ফর্দু, আবদুল করিম, ময়েন উদ্দিন, মোহাম্মদ তালেব, শামসুল ইসলাম (পলাতক), রায়জুল হাসান রিপন, মোহাম্মদ আলী, নাজিম, নয়ন হোসেন, কলম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল ফটিক ও আলমগীর হোসেন (পলাতক)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৮ জানুয়ারি শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফজলার রহমান ফনু উপজেলা সদরে সভা শেষে ভাতিজা জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে কলম ইউনিয়ন পরিষদে যাচ্ছিলেন। এসময় উপজেলার সাওল গ্রামের শাহপাড়া কালিমন্দিরের পেছনে পৌঁছালে প্রতিপক্ষ করিম ও তার অনুসারীরা ফনুকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এসময় তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। পরে তাকে কুপিয়ে মারাত্বকভাবে আহত করা হয়। এসময় মোটরসাইকেল চালক জাহিদুল ইসলামকেও (২৫) কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দুইজনকে নাটোর জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চেয়ারম্যান ফজলার রহমান ফনুকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরের দিন কলম ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ফটিকসহ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ১২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি হত্যামামলা দায়ের করেন নিহতের ছোট ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান মঈনুল হক চুনু। মামলাটির তদন্তভার পান এসআই ওসমান গনি। গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটি র্যাবের কাছে স্থানান্তর করা হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম ২০১৪ সালের ৫ জুন ১৮ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। চলতি বছরের ১৮ মে মামলাটি রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। মামলার ২২ জনের সাক্ষগ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট অঙ্কুর সেন ও মিজানুর রহমান।
বিডি-প্রতিদিন/ ০২ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা