জগন্নাথ বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সন্ধ্যাকালিন কোর্সের ছাত্র নাজিমউদ্দিন সামাদ হত্যার ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহে নেমেছে পুলিশ।
রাজধানীর পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে গত বুধবার রাতে নাজিমকে প্রথমে কুপিয়ে ও পরে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়া গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
ঘটনাস্থলটির ঠিক দু’শ গজ দূরেই একটি সিসি ক্যামেরার খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। খুনিদের শনাক্ত করতে সেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আজ সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর আমরা পুরো এলাকায় কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরা আছে, তার সন্ধান চালিয়েছি। আজ ওই ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হবে। আশা করি, ওই ফুটেজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে হয়ত খুনিদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
খুনিরা কেন ওই স্থানটিই বেছে নিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সূত্রাপুর থানার ওসি (তদন্ত) সমীর চন্দ্র সূত্রধর বলেন, যেখানে নাজিমউদ্দিন সামাদকে খুন করা হয়েছে, সেই একরামপুর মোড়েই এসে মিশেছে সদরঘাট যাওয়ার একটি রাস্তা। অন্য আরেকটি রাস্তা গেছে সূত্রাপুর থানার দিকে। খুনিরা সহজেই পালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনরাস্তার মোড়টিকে বেছে নিয়েছে বলে আমরা ধারণা ধারণা করছি।
এদিকে, ইংল্যান্ড থেকে নাজিমউদ্দিনের মরদেহ বুঝে নেওয়ার জন্য এসেছেন তার চাচাতো ভাই বদরুল হক। তিনি বলেন, আমি মামলা করতে আসিনি। ভাইকে দাফন করে ইংল্যান্ড ফিরে যাবো।
বৃহস্পতিবার রাতে নাজিমউদ্দিন হত্যায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫/৬ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে সূত্রাপুর থানায় এ মামলা (নম্বর- ০২)।
উল্লেখ্য, অনলাইনে ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখালেখি করতেন নাজিমউদ্দিন। সিলেটে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীও ছিলেন তিনি। হেফাজতের আন্দোলনের সময় ‘নাস্তিক ব্লগারদের’ যে তালিকা কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে নাজিমেরও নাম ছিল।
বিডি-প্রতিদিন/৮ এপ্রিল, ২০১৬/ হিমেল-৯