আওয়ামী লীগের ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থে বাঁশখালীতে গুলি করে নিরীহ মানুষ হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
শনিবার ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন হলরুমে নির্বাচন কমিশনের ‘ধারাবাহিক ব্যর্থতার’ প্রতিবাদে ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
হাফিজ বলেন, কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আঁতাত করে সরকার নিজেদের লাভের জন্য পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ক্যাডার দিয়ে সাধারণ মানুষদের উপর নির্মমভাবে গুলি চালায়। আমরা এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
ইউপি নির্বাচনে দুই'শ জনের মত প্রতিদ্বন্দ্বী, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে। এ ঘটনাকে বিশ্বের বিরল ঘটনা বলে উল্লেখ করেন মেজর হাফিজ।
সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ কোন দিন ক্ষমতায় আসতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৯জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে। ওই সময় অনেক কেন্দ্রের ফল ঘোষণার পরও এক ঘণ্টার ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে ফল প্রকাশ হয়।
স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের আমলে নির্বাচনের ইতিহাস কলঙ্কিত বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি জানান, স্বাধীনতার পরে সর্ব প্রথম ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয় ডাকসু নির্বাচনে। এই বিষয়ে কথিত রয়েছে জাসদের প্রার্থীর জয়ের মুর্হূতে ছাত্রলীগের নেতারা ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে।
শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে হাফিজ বলেন, এ দেশ ষোল কোটি মুসলমানের দেশ। মুসলমানদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ধ্বংস করে দেয়ার লক্ষ্যে একজন মোড়ল তৈরি করে দেয়া হয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. যোবায়ের নাহিদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ এপ্রিল ১৬/ সালাহ উদ্দীন