চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মাদামবিবির হাট এলাকার জাহাঙ্গীর আলম পেশায় লরিচালক। নেশাগ্রস্ত হয়ে অত্যাচার করতেন নিজ স্ত্রী খোদেজা বেগমকে (৩৫)। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দুই সন্তানের জননী খোদেজা খুন করে স্বামীকে। খুন করার পর হাজির হন থানায়। দায়িত্বরত পুলিশ অফিসারকে জানালেন, ‘আমি আমার স্বামীকে খুন করেছি। আমাকে গ্রেফতার করুন।’
গত বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। তাদের বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলায়। ওই দম্পতি মাদামবিবির হাট এলাকায় ১২ বছর ও সাড়ে ৩ বছর বয়সী দুই ছেলেকে নিয়ে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
সীতাকুণ্ড থানার ডিউটি অফিসার এস আই রেহানা আক্তার বলেন, স্বামীকে খুন করে খোদেজা গতকাল বুধবার রাত ১টার দিকে নিজেই থানায় এসে ডিউটি অফিসারের রুমে গিয়ে বলেন, আমি আমার স্বামীকে খুন করে এসেছি। আমাকে গ্রেফতার করুন। রাত ২টার দিকে পুলিশ খোদেজাকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বাসায় যায়। সেখানে একটি কক্ষ থেকে জাহাঙ্গীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খোদেজা জানায়, জাহাঙ্গীর মদ খেয়ে বাসায় এসে প্রতি রাতে স্ত্রীকে মারধর করতেন। সন্তানদের সামনে গালাগাল করতেন। অপমান-নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মঙ্গলবার ভোরে তাকে শিলপাটা দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করেন। এরপর স্বামীর মরদেহ বাসার ভেতরে রেখে দেয়। বুধবার গভীর রাতে জাহাঙ্গীরের পচন ধরা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় খোদেজাকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ অক্টোবর, ২০১৬/ আফরোজ