‘সে সময় পুঠিয়ার এএসপি ছিলেন আলমগীর কবীর স্যার। উনি উপস্থিত ছিলেন, উনি বসেছিলেন আমাদের বাসাতে। উনি বললেন যে, একটু বসব আপনাদের বাসাতে আমার বড় ভাইকে বলছে। উনার উপস্থিতিতেই বসার পরে কিছু সাংবাদিক ভাইয়েরা এসেছেন ওখানে। আকস্মিক। তারপরে আমি কিন্তু দেখিনি, ওই দিনই দেখছি যে সিদ্দিকুর রহমান বাংলা ভাই। ওইদিনই দেখেছিলাম। আমি পাশের রুমে বসে থেকে কথা বলছিলাম। তো এক সাংবাদিক ভাই বললেন, কেউ যদি থাকেন একটু পানি আনলে ভালো হতো। জাষ্ট এতটুকু। এটি ছিল আমার বাসায় না আমার ভাইয়ের বাসায়। এখন নিশ্চয়ই আপনারা দেখেছেন ওখানে আমার কোন বক্তব্যও নেই। আমার কোন কথাও ওখানে নেই।’ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাগমারার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলমগীর সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মানুষ, আমি বাগমারা উপজেলার মানুষ। বাগমারা উপজেলা এবং গোটা ওয়ার্ল্ডে বাংলাদেশসহ গোটা পৃথিবীতে যত দেশ আছে, কোন জায়গায় আলমগীর সরকারসহ আলমগীর সরকার পরিবারের কোন সদস্যের নাম কোন অরাজনৈতিক বা রাষ্ট্রের বিরোধী কোন জায়গায় যদি আপনারা দেখাতে পারেন তাহলে আমি গরীব মানুষ আমার যতটুকু জায়গা জমি আছে আমি রেজিস্ট্রি করে দিয়ে দিব। আমি কোথাও কোন অপরাধ করি নাই, যেখানে আমার নাম লিপিবদ্ধ করা আছে। আমার নাম জেএমবি, সর্বহারা কোথাও নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, তাহেরপুর পৌরসভা মেয়র আবুল কালাম আজাদ, বাগমারা উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কেরামুল হাসান সুজন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী আলমগীর সরকারের জেএমবি সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তার প্রেক্ষিতেই এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/৭ অক্টোবর ২০১৬/হিমেল