গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের বিরোধপূর্ণ জমি থেকে উচ্ছেদ হওয়া সাঁওতালদের ধান তাদের বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে কয়েকটি নির্দেশনা ও একটি রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালত বলেছেন, ওই জমিতে সাঁওতালদের চাষের ধান হয় তাদের কাটতে দিতে হবে, নয়ত চিনিকল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন ধান কেটে সাওতালদের বুঝিয়ে দেবে।
গত ৬ নভেম্বর চিনিকলের অধিগ্রহণ করা ওই জমি থেকে সাঁওতালদের কয়েকশ' ঘর উচ্ছেদের সময় বাড়িঘরের পাশাপাশি মাঠের মাস কালাই, সরিষা ও পাট লুট করা হয়। ধান তখন লুট না হলেও উচ্ছেদের পর চিনিকল কর্তৃপক্ষ পুরো জমি কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে রেখেছে।
পাক ধরা ধান দ্রুত কাটতে না পারলে তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন সাঁওতালরা।
ধান বুঝিয়ে দেওয়ার আদেশের পাশাপাশি সাওতালদের সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় ‘প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না’- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট।
স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, গাইবান্ধার ডিসি ও এসপি, স্থানীয় সাংসদ ও গোবিন্দগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যানকে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি উচ্ছেদ হওয়া সাঁওতালদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তা দিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তাদের নিরাপত্তার জন্য কী কী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া্ হয়েছে এবং উচ্ছেদের সময় ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় কয়টি মামলা হয়েছে তা আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার ও গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসিকে। এ বিষয়ে শুনানির জন্য ৩০ নভেম্বর পরবর্তী তারিখ রেখেছেন আদালত। সূত্র: বিডিনিউজ।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ