আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেছেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে বিএনপির ভড়াডুবি হবে জেনে দলের নেতারা মিথ্যাচার শুরু করেছে। বিএনপি-জামায়াতের মদদে জঙ্গিরা দেশজুড়ে আত্মঘাতি বোমা হামলা ও নাশকতা চালাচ্ছে। মানুষ উন্নয়ন চায়, শান্তি চায়। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ চায় না। সে কারণে আগামী ৩০ মার্চ সিটি নির্বাচনে বিএনপিকে লাল কার্ড দেখাবে জেনেই নির্বাচন নিয়ে মিথ্যাচার করছে। আসলে বিএনপির নেতাদের কাজই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
আজ সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী এজেন্টদের প্রশিক্ষণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এতে প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী পরিচালনা টিমের সদস্য সচিব রাশিদুল আলম।
এনামুল হক শামীম বলেন, বিএনপির অপর নাম নালিশ পার্টি। তারা সারাদিন নালিশ করতেই থাকে। এছাড়া তাদের কোনো কাজ নেই। বিএনপি নেত্রীর নির্দেশে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে সারাদেশে আগুন সন্ত্রাস হয়েছিল। দেশের মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল বলেই লেজগুটিয়ে নেয় বিএনপি। এখন আবার বিএনপির ইন্ধনে সারাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। সে কারণে কুমিল্লার মানুষ বিএনপিকে লাল কার্ড দেখাবে। দলের শীর্ষ নেতারা বিষয়টি বুঝতে পেরে এখন মিথ্যা নালিশ শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই মুহুর্তে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রতীক নৌকা। জনপ্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা। কুমিল্লার মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিতে প্রস্তুত। কুমিল্লাবাসী দুর্নীতিবাজ-লুটপাটকারীদের আর মেয়র হিসেবে দেখতে চায় না। তারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সীমাকে বিজয়ী করতে চায়। কুমিল্লায় নৌকার পক্ষে গণজোয়ার দেখছি। নেতাকর্মীরাও ঐক্যবদ্ধ।
আজ দিনভর আওয়ামী লীগ প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমার পক্ষে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে কুমিল্লায় গণসংযোগ করেন ফরিদুন্নাহার লাইলী, সুজিত রায় নন্দী, দেলোয়ার হোসেন, প্রকৌশলী আবদুস সবুর, হাবিবুর রহমান সিরাজ, ডা. রোকেয়া সুলতানা, পারভীর জাহান কল্পনা, এসএম কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু, রেমন আরেং, মারুফা আক্তার পপি, গোলাম কবির রাব্বানী চিনু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম ক্রিক, সাবেক ছাত্রনেতা ইসহাক আলী পান্না, অজয় কর খোকন, শাহাজাদা মহিউদ্দীন, লিয়াকত শিকদার, জহির উদ্দীন মাহমুদ লিপ্টন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, বদিউজ্জামান সোহাগ, শেখ সোহেল রানা টিপু, সৈয়দ হেমায়েত উদ্দিন, জহির শিকদার, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন, ছাত্রলীগের ডাক্তার তফাজ্জেল হক চয়ন, এম আমিনুল ইসলাম, সাবিনা আক্তার শিউলি, শেখ ফয়সল আমিন, নুর এ আলম আশিক প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/২৭ মার্চ ২০১৭/এনায়েত করিম