দেশে এইচআইভি-এইডস রোগী শনাক্তের ২৩ বছর পর রোগীদের চিকিৎসা সেবা মূলধারায় সরকারি হাসপাতালে দেওয়া শুরু হয়েছে। গত ১ অক্টোবর থেকে এনজিওর পরিবর্তে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এইচআইভির ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। আজ চমেক হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে ‘মেইনস্ট্রিমিং অব দ্যা ক্লিনিক্যাল কেয়ার অব এইচআইভি-এইডস’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ডারমাটোলজিক্যাল সোসাইটি চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএমএ’র মহাসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. এহতেশামুল হক চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. মো. বেলাল হোসেন, চমেকের অধ্যক্ষ ডা. সেলিম মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে অধ্যাপক ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘২৩ বছর আগে দেশে এইডস রোগ শনাক্ত হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই রোগের সেবায় কোনো ‘ক্লিনিক্যাল গাইড লাইন’ তৈরি হয়নি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে সুখের খবর দেড়িতে হলেও সরকারি হাসপাতালে এইডস রোগের ওষুধ সরবরাহের একটি উদ্যোগ সরকার নিয়েছে। আমাদের দাবি হলো- পর্যায়ক্রমে এই রোগ নিরাময়ের সকল চিকিৎসা সরকারি হাসপাতালে ব্যবস্থা করা হোক।’
প্রধান অতিথি ডা. মো. এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, এইডসের মত একটি রোগের চিকিৎসা এনজিওর মাধ্যমে হওয়া এটা মোটেও বাঞ্চনীয় নয়। কারণ এই রোগের সঙ্গে অনেক রোগ সম্পৃক্ত। একটি এনজিওর পক্ষে এতসব রোগের চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তা সম্ভব কেবল সরকারি হাসপাতালের পক্ষে। অতীতে যা হয়েছে, তা আর পুনরাবৃত্তি নয়। এখন থেকে সরকারি হাসপাতালে এ রোগের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে তা আরো ব্যাপক আকারে রূপ পাবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার