১৮ নভেম্বর, ২০১৯ ২১:৫৩

তবুও বিরোধ মিটলো না আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:

তবুও বিরোধ মিটলো না আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতার

জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা

বিরোধ মিটেও মিটলো না জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতার। গত ৮ নভেম্বর কেন্দ্র ডেকে জেলার শীর্ষ দুই নেতার বিরোধ মিটিয়ে ৪ ডিসেম্বর সম্মেলনের দিন নির্ধারণ করেন। এরপর তৃণমূলের নেতারা মনে করেছিলেন বিরোধ মিটে যাওয়ায় সম্মেলন হবে নির্বিঘ্নে। আর এই সম্মেলন সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে।

প্রায় দুই বছরের বেশি সময় পর সম্মেলনকে সামনে রেখে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সোমবার বিকালে। সভায় কেন্দ্রীয় নেতা লিটন উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য ও রাজশাহীর সংসদীয় আসনের এমপিরা। কিন্তু ওই সভায় যাননি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি।

ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘আমি ওই মিটিংয়ে যাচ্ছি না। আমার শহীদ বাবাকে রাজাকার বলা হয়েছে। আমি এর বিচার চেয়েছি। সেই বিচার তো পায়নি। প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে থেকে আসলে নিশ্চয় এর বিচার পাবো। আমি আমার শহীদ বাবার রক্তের সঙ্গে বেইমানী করে রাজনীতি করতে পারি না।’

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সম্প্রতি এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নেয়। দলীয় একটি সভায় সাধারণ সম্পাদক আসাদ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীকে ‘রাজাকারের সন্তান’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বক্তব্য দেন। এরপর গত ১৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত এ সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন। সেখানে বিভাগের সব জেলার সভাপতি-সম্পাদক বক্তব্য দিলেও কোন্দলের কারণে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বক্তব্য দিতে দেওয়া হয়নি। সেদিন জেলার এ দুই নেতাকে কেন্দ্রে তলব করে যান কেন্দ্রীয় নেতারা।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘আজকের সভাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সভাপতির না আসাটা তার ব্যক্তিগত। তবে তিনি না আসলেও কেন্দ্রীয় নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের উপস্থিতিতে সভা ভালো হয়েছে। সেখানে অন্য সব নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।’ 

২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন হয়। ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ হওয়ার পর ৬ ডিসেম্বর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সভাপতি-সম্পাদকের দ্বন্দ্বে ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবরের পর জেলা আওয়ামী লীগের আর কোনো সভা হয়নি।

সোমবারের সভা প্রসঙ্গে রাজশাহী-৪ আসনের এমপি এনামুল হক বলেন, সামনে সম্মেলন। সম্মেলন কীভাবে সফল করা যায়, এনিয়ে আলোচনা হয়েছে। 

এমপি আদিবা আনজুম মিতা বলেন, দীর্ঘদিন পর জেলা কমিটির সভা হলো। সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। সভা থেকে বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।
  

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর