শিরোনাম
- ‘জুলাই শহিদদের বৈষম্যহীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে’
- চট্টগ্রামে জুলাই আন্দোলনের মামলার প্রথম চার্জশিট দিল পুলিশ
- চট্টগ্রামে সাপের কামড়ে দুইজনের মৃত্যু
- সিলেটে রাতে নিখোঁজ, সকালে ধানক্ষেতে মিলল মরদেহ
- জুলাইয়ের মায়েরা কাঁদলেন, কাঁদালেন
- ‘পতিত সরকার ভারতে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করছে’
- এবার শান্তিতে নোবেলের জন্য ট্রাম্পকে মনোনয়ন দেবে কম্বোডিয়া
- ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য না থাকলে সকল অর্জন ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
- দক্ষিণ আফ্রিকায় এক হাজার অবৈধ অভিবাসী খনি শ্রমিক গ্রেফতার
- হবিগঞ্জে মহাসড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা
- ঐক্যের বিকল্প নেই, ষড়যন্ত্রকারীদের পরিণতি হবে দুঃস্বপ্ন : ডা. জাহিদ
- নেত্রকোনায় রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস ও সম্মাননা প্রদান
- সংসদের বাইরে সংবিধান সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই : আমীর খসরু
- ইলন মাস্কের টেসলাকে ২৪৩ মিলিয়ন ডলার জরিমানা
- যশোরে জুলাই শহীদদের স্মরণে ড্যাব’র ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
- মির্জাপুরে অপহরণ করে চাঁদা দাবি, নারীসহ গ্রেপ্তার ৬
- ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ায় নিহত ৩
- জাবিতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন
- যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া উত্তেজনা: পারমাণবিক সাবমেরিন শক্তিতে কে এগিয়ে?
- ঠাকুরগাঁওয়ে জুলাই আন্দোলনের স্মৃতিচারণে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শহীদদের মায়েরা
টিপু রাজাকারের ফাঁসির রায়ে উচ্ছ্বসিত শহীদদের স্বজনরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে রাজশাহীর আবদুস সাত্তার ওরফে টিপু রাজাকারের ফাঁসির রায়ে খুশি শহীদদের স্বজনরা। বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণার পর থেকেই রাজশাহীতে সন্তোষ প্রকাশ করছেন তারা।
রায় ঘোষণা হবে, এ খবর আগেই পেয়েছিলেন শহীদ পরিরারের সন্তানরা। তাই বুধবার সকাল ১০টা থেকেই তারা নগরীর তালইমারী শহীদ মিনারে অবস্থান নেন। ছিলেন মামলার স্বাক্ষীরাও। এরপর রায় ঘোষণা হলে শহীদদের স্বজনরা আনন্দিত হন, তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এখন টিপু রাজাকারের রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়, সেই দাবিও সরকারের কাছে জানান শহীদের স্বজনরা।
শহীদ চাঁন মোহাম্মদের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘এটি একটি প্রত্যাশিত রায়। আমার বাবাকে একাত্তরের ১ নভেম্বর টিপুসহ ১০ রাজাকার ৩০-৪০ জন পাকিস্তানি সেনা নিয়ে এসে ধরে নিয়ে যায়। আমরা ছাদ থেকে দেখতে পাই, বাবাকে ধরে ট্রাকে তোলা হচ্ছে। ট্রাকে বাবা ছাড়াও আরও অনেক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাদের সবাইকেই হত্যা করা হয়।’
শহীদ পরিবারের আরেক সদস্য শহীদ সইজুদ্দিন শেখের ছেলে হাসানুজ্জামান হাসানী বলেন, ‘১৩ এপ্রিল আমাদের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এরপর বাবা ও আমার মামাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপরের দিন বাড়ির পাশেই আমরা বাবার লাশ পাই। এই রাজাকারের রায়ে আমি খুব খুশি। এখন দ্রুত যেন কার্যকর হয়।’
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারাও। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা. আবদুল মান্নান বলেন, সে সময় প্রকাশ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের উপর নির্যাতন চালাতো টিপু রাজাকার ও তার দলবল। তাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে টর্চার সেল ছিল। সেখানে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হতো। এই রাজাকারের মৃত্যুদণ্ডে আমরা খুশি। এখন গ্রামগঞ্জে আরও যে রাজাকার আছে তাদেরও বিচারের দাবি জানাই।
মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামী ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের কর্মী ছিলেন টিপু রাজাকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন তিনি। অংশ নিয়েছেন গণহত্যায়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ছাত্রসংঘের নাম বদলে হওয়া ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতেও যুক্ত হন তিনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে লেখাপড়া করা টিপু ১৯৮৪ সালে নাটোরের গোপালপুর ডিগ্রি কলেজে যোগ দেন সহকারী অধ্যাপক হিসেবে। এরপর ২০১১ সালে সেখান থেকেই তিনি অবসরে যান। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি বিস্ফোরক আইনের এক মামলায় নগরীর মতিহার থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এ মামলায় বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর