১৯৭১ সালে যে কারণে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বর্তমানে তা কিছুই নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এসময় তিনি আরও বলেন, যে কারণে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বর্তমানে তা কিছুই নেই। বাংলাদেশে এখন সেই গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন, সামাজিক নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার সবই অনুপস্থিত।
আমির খসরু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল কারণ ছিল গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা। গণতন্ত্রের বাহক হচ্ছে নির্বাচন। আর এ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যে দলকে নির্বাচিত করে তারাই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবে। পাকিস্তান আমলে যেটা হয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানিরা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি। তারা নির্বাচনের যে বাহক তাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। তার প্রতিবাদে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে নেমেছিল। সেদিন ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় গণতান্ত্রিক আন্দোলন হিসেবে শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের মূল বিষয় হলো বাক-স্বাধীনতা, ব্যক্তি-স্বাধীনতা, আইনের শাসন, সামাজিক নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার। কিন্তু বাংলাদেশে আজ এসব অনুপস্থিত। তাই আমাদের এসব অধিকার ফিরিয়ে আনতে একটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে এবং সেই মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। যিনি জেলে আছেন।
আমির খসরু বলেন, যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন, জীবন দিয়েছেন তাদের তালিকা প্রকাশ করতে বলার কারণে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এজন্য আমরা তালিকা প্রকাশ করবো।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন