নিখোঁজের এক ঘন্টা পর ভাড়াটিয়ার খাটের নিচ থেকে উদ্ধার হয়েছে ছয় বছরের শিশু আয়েশা আক্তার ইয়াছফার লাশ। শিশুটির হাত বাঁধা ও মুখে কাপড় গোজা ছিল। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় রাজধানীর ভাটারার বারোভিগা এলাকার একটি টিনশেড বাড়ি থেকে আয়েশার লাশ উদ্ধার করা হয়। আয়েশার বাবা ইয়াসিন মুন্সি একজন ব্যবসায়ী। আয়েশা স্থানীয় একটি স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুক্তারুজ্জামান জানান, ইয়াসিন মুন্সির টিনশেড বাড়ির একটি ঘরে ভাড়াটিয়া থাকতেন। সেই ভাড়াটিয়ার কাজের বুয়ার একটি ছেলে রয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর থেকেই পলাতক রয়েছে। খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার ব্যাপারে তাকেই সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশ তাকে খুঁজছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শিশুটির বাবা ইয়াছিন মুন্সি বলেন, বিকাল থেকে মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। সংবাদ শুনে গুলশানের দোকান বন্ধ করে দ্রুত বাসায় চলে আসি। স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করতে যাই। এমন সময় সংবাদ পাই, তাকে পাওয়া গেছে ভাড়াটিয়ার রুমের খাটের নিচ থেকে।
শিশুটির মামা জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন আয়েশাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপসম হাসপাতাল, সেখান থেকে মা-ও শিশু সদন, সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জরুরী বিভাগে নিয়ে। কর্তব্যরত চিকিৎসক আয়েশাকে মৃত বলে জানান।
এক ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল ছোট। বাবার অভিযোগ তাকে হাত বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভাড়াটিয়া স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে ঐ রুমে ভাড়া থাকেন। তারা সে সময়ে বাসায় ছিল কিনা সে ব্যাপারে তিনি বলেন, আমিতো হাসপাতালে চলে এসেছি। জানতে পারেনি।
শরিয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলায় ইয়াসিন মুন্সীর বাড়ি।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ