নিজের ১৪ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মেয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাত ৮টায় উপজেলার আছিম-পাটুলী গ্রাম থেকে হারুন অর রশিদ আকন্দ তোতা (৪৮) নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
তোতা ১২নং আছিম-পাটুলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, আছিম পাটুলী গ্রামের মৃত আ. জলিল আকন্দের ছেলে হারুন অর রশিদ দেড় যুগ আগে জঙ্গলবাড়ি গ্রামে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক বছর পর তার স্ত্রী তালাক দিয়ে কন্যা সন্তান নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে আরেকটি বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রীও তাকে তালাক দিয়ে চলে যায়। প্রথম স্ত্রীর মেয়েকে ফোন করে তার অসুস্থর খবর জানায়। বাবার অসুস্থর খবর শুনে গত বৃহস্পতিবার নানীর বাড়ি থেকে বাবাকে দেখতে আসে মেয়েটি।
গত সোমবার রাতে দাদির ঘর থেকে মেয়েকে তার ঘরে থাকতে নিয়ে যায়। ওই রাতে নিজের ধর্ষণের চেষ্টা করে। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ঘটনাটি কাউকে বললে হত্যা করা হবে বলে মেয়েকে হুমকি দেয়া হয়। ভয়ে ঘটনাটি কাউকে কিছু না বললেও পরের রাতে আবারও মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বিষয়টি মেয়ে তার মামাকে মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে বলে।
এরপর আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়ের মামা ফুলবাড়িয়া থানায় অভিযোগ দিলে এসআই রফিকুল ইসলাম ওই আওয়ামী লীগকে গ্রেফতার করে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নির্যাতিত মেয়ের মামা বলেন, মিথ্যা অসুস্থর খবর দিয়ে নিজের মেয়েকে নিয়ে এসে একাধিকবার ধর্ষণের চেষ্টা করে ভণ্ড পিতা, ঘটনাটি কাউকে বললে খুন করা হবে বলে হুমকিও দিয়েছে। মোবাইলে বিষয়টি আমাকে জানালে তাকে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মেয়েটির মামা বাদী হয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন।
ফুলবাড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) শেখ জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, নিজ মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় বাবা গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার সকালে আদালতে পাঠানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত