দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। একই সঙ্গে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। বুধবার ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন।
এর আগে, অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অবিভক্ত ঢাকার সর্বশেষ মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন। এসময় ইশরাকের আইনজীবী মো. ফরহাদ হোসেন মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনে বলা হয়, দুদক আইনের ২৬ ধারা মোতাবেক আসামির সঠিক ঠিকানায় নোটিশ জারি কিংবা ইস্যু করেননি। এছাড়া ইশরাক অথবা তার উপর নির্ভরশীল কোন ব্যক্তি কথিক ওই নোটিশ গ্রহণ করেনি। ওই নোটিশের স্বীকৃতি দাখিলের জন্য যুক্তিসংগত সময় দেওয়া হয়নি। এছাড়া ভুল ঠিকানায় ওই নেটিশ জারি করা হলেও আবেদনকারী এ বিষয়ে কিছুই জানে না। তাই ইশরাকের বিরুদ্ধে করা মামলাটি উদ্দেশ্য প্রেণোদিত। সামাজিকভাবে হেয় করতে এ মামলা করা হয়েছে।
এ কারণে মামলায় অভিযোগ গঠনের কোন উপাদান নাই বিধায় অব্যাহতি পাওয়ার হকদার। অপরদিকে দুদকের আইনজীবী গোলাম হায়দার অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। বিচারক অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় ইশরাক নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার দাবি করেন আদালতে। ফলে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক হোসেন এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদের বিবরণী দুদকে দাখিলের নোটিশ দেয়া হয়। দুদকের এক কনস্টেবল কমিশনের নোটিশ ইশরাকের বাসায় জারি করেন। এসময় ইশরাক হোসেনকে না পেয়ে চারজন সাক্ষীর সামনে তার বাসভবনের নিচতলায় প্রবেশ পথের বাম পাশের দেয়ালে ঝুলিয়ে নোটিশটি জারি করেন। ওই নোটিশে দুদকের দেয়া ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ইশরাক হোসেন সম্পদের হিসাব নির্ধারিত ফরমে দাখিল করেননি। এ ঘটনায় ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক সামছুল আলম বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে ঘটনার তদন্ত করে ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন ইশরাকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বিডি-প্রতিদিন/আরাফাত/শফিক