ময়মনসিংহের নান্দাইলে স্বপ্নে পাওয়া করোনাভাইরাসের ওষুধ আবিষ্কারের দাবিদার শাহিন মিয়া (২৮) এখন ছয় মাসের জন্য কারাগারে। আর তার সহকারী হিসেবে পিতা জসিম উদ্দিন দিয়েছেন ১০ হাজার টাকা জরিমানা।
গত শুক্রবার রাতে পিতা ও পুত্রকে এ দণ্ড দেন নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম সুজন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার শাহিন মিয়া খামারগাঁও গ্রামের মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়ার আগে মুসল্লিদের সামনে হাজির হয়ে তার ওষুধ আবিষ্কারের কথা বলেন। এ সময় তিনি দাবি করেন, তার আবিষ্কার করা ওষুধ মুসলমানরা খেলে করোনা ভালো হয়ে যাবে। আর অন্য ধর্মের কেউ খেলে নিশ্চিত মৃত্যু হবে।
শাহিন মিয়া রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে একটি চানাচুর কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। সেখানে কাজ করার সময় স্বপ্ন দেখে বাড়িতে আসার পর ওষুধটি বানাতে সক্ষম হন বলেও দাবি করেন।
এ নিয়ে তিনি সরকারে সাথে চুক্তি করার অপেক্ষায় আছেন বলে জানান। এ ঘোষণার পর থেকেই শাহিনের বাড়িতে লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে।
বিষয়টি জানতে পেরে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম সুজন ঘটনাস্থলে যান। এ সময় শাহীন মিয়া তার ওষুধ আবিষ্কার ও মসজিদে গিয়ে ওষুধের প্রচারণা চালানোর কথা স্বীকার করেন। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে শাহীনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও তার পিতাকে জরিমানা করেন।
নান্দাইল থানার ওসি মনসুর আহমেদ জানান, ভন্ড কবিরাজ শাহিনকে রাতেই ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন