রাজধানীর ওয়ারী থানায় করা স্ত্রী হত্যা মামলায় নিহতের স্বামী রবিন হোসেনকে (২৪) তিন দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ারী থানার এসআই রনজিত সরকার আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিন রিমান্ডের আদেশ দেন।
গতকাল রবিবার ওয়ারীর ৫৮ নম্বর গোয়ালঘাট লেনের ষষ্ঠ তলা থেকে রেশমা (২০) নামে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই নিহতের স্বামী রবিনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ওয়ারী থানায় ওই গৃহবধূর বাবা মনু হাওয়ালাদার একটি হত্যা মামলা করেছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ফুলকচি গ্রামে।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি খুনের কথা স্বীকার করেছে। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং রহস্য উদঘাটন ও এই খুনের সঙ্গে আর অন্য কেউ জড়িত কি না, অথবা হত্যা পরিকল্পিত কি না, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আসামিকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ারী থানার এসআই রনজিত সরকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলাম। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
মামলার এজাহারে রেশমার বাবা মনু হাওলাদার উল্লেখ করেন, আড়াই বছর আগে পরিবারকে না জানিয়ে রেশমা ও রবিন বিয়ে করে। বিয়ের পর তারা ঢাকায় থাকা শুরু করে। শনিবার দুপুরে তার মেয়ে তাকে ফোন করে জানায়-দাম্পত্য কলহে রবিন তাকে মারধর করে। ওইদিন মাঝরাতে ঘরের ভেতরে রবিন তার মেয়ের গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যার সময় রেশমা বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করে। চিৎকার শুনে পাশের বাড়ির বাসিন্দা তাছলিমা (৫০) জানালা দিয়ে দেখার চেষ্টা করে। তিনি বাড়িওয়ালাসহ আশপাশের লোকজনকে জানালে তারা ওই বাসার দরজায় ধাক্কাতে থাকে। এক পর্যায়ে রেশমার স্বামী রবিন দরজা খুললে ভেতরে রেশমার লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখা যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন