শিরোনাম
- নেত্রকোনায় ট্রাকের সাথে সিএনজির সংঘর্ষ, নিহত দুই
- চাকরির শেষ কর্মদিবসে বিদ্যালয়েই মারা গেলেন প্রধান শিক্ষক
- গুম-খুনের অভিযোগ : সিআইডির এডিশনাল এসপি মশিউর কারাগারে
- জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল
- সরানো হলো ডিএসসিসির প্রশাসক ও ঢাকা ওয়াসার এমডিকে
- রান তাড়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফাইনালে ভারত
- তফসিলের পর প্রশাসন-পুলিশে রদবদলের উদ্যোগ নেবে ইসি
- ডোপ টেস্ট পজিটিভ হলে জকসুর প্রার্থিতা বাতিল
- বাড্ডায় মেট্রো লাইন স্থানান্তর শুরু, বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ
- চলতি বছর ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন ১০ লাখের বেশি করদাতা
- ‘শাপলা যদি দিতেই চান একটু ফুটাইয়া দিলে ক্ষতি কী?’
- পাপ ও প্রতিশোধের ভয়ংকর গল্প ‘কিতাব সিজ্জিন দান ইল্লিয়িন’ আসছে স্টার সিনেপ্লেক্সে
- কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের ঘোষণা পাকিস্তানের
- নিজেদের সেনাদের মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে রুশ কমান্ডাররা
- সুদানের এল ফাশেরে ১৪ হাজারের বেশি বেসামরিক নিহত
- বিএমএ ‘হল অব ফেইম’-এ অন্তর্ভুক্ত হলেন নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী প্রধান
- তুরস্কের অনুরোধে আফগানিস্তান-পাকিস্তান ফের আলোচনায় বসছে
- মহাকাশ মিশনে যাচ্ছেন প্রথম পাকিস্তানি নভোচারী
- প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন আপিল কমিটি গঠন
- রাবিতে যাতায়াত সুবিধায় ই-কার সার্ভিস চালুর ঘোষণা
দিহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধেও উঠেছিল হত্যার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ইফতেখার ফারদিন দিহানের (১৮) বড় ভাই সুপ্ত সরকারের বিরুদ্ধেও উঠেছিল হত্যার অভিযোগ। ওই মামলার সাক্ষীরা বলছেন, টাকার বিনিময়ে মামলাটি আপস করেছেন সুপ্তর বাবা।
দিহানরা তিন ভাই। তাদের বাবার নাম আবদুর রউফ সরকার। তিনি রাজশাহী জেলার অবসরপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার। রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার রাতুগ্রাম গ্রামে তার বাড়ি। তিনি একজন ধর্নাঢ্য ব্যক্তি। বড় ছেলে সুপ্তকে নিয়ে আবদুর রউফ সরকার গ্রামে থাকেন। আর মা সানজিদা সরকার শিল্পীর সঙ্গে দিহান ও তার মেজো ভাই নিলয় ঢাকায় থাকেন। নিলয় একটি ব্যাংকে চাকরি করেন।
দিহানের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুর্গাপুরের রাতুগ্রামের বাড়ি ছাড়াও জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে তাদের আরও একটি বাড়ি আছে। রাজশাহী শহরেও আছে দুটি বাড়ি। এর একটি সাগরপাড়া এলাকায়। আরেকটি বাড়ি নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকায়। ঢাকায় আছে ফ্ল্যাট। দিহানের মা শিল্পীও ঢাকায় বেপরোয়া চলাফেরা করেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই দিহান ঢাকায় থাকেন। তাই তার সম্পর্কে গ্রামের মানুষের ধারণা কম। তবে তার বড় ভাই সুপ্ত মাদকাসক্ত। ২০০৯ সালেই তার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। পরে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সেই মামলার আপস করা হয়। পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুপ্তর স্ত্রীর নাম ছিল রুনা খাতুন। তার বাবার বাড়ি কিশোরগঞ্জ। আর নানির বাড়ি রাজশাহী নগরীর হোসনীগঞ্জ মহল্লায়। রাজশাহীতেই সুপ্তর সঙ্গে তার পরিচয়। এরপর বিয়ে। এর কিছুদিন পরই সুপ্ত ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রুনাকে বিষ মুখে ঢেলে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে রুনার মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছিলেন। আর ওই সময় আসামিদের শাস্তির দাবিতে রুনার লাশ নিয়ে রাজশাহী শহরে মিছিলও হয়েছিল।
রুনার নানির বাড়ির এলাকার এক নারী হত্যা মামলার সাক্ষী। শুক্রবার সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকেই রুনাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো। শেষে তার মুখে জোর করে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই দিন পর রুনা হাসপাতালে মারা যান। আমরা তার লাশ নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করি। আমরা রুনার স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের শাস্তির দাবি জানাই। মামলাটা চলছিলই। পরে তারা টাকা দিয়ে মিমাংসা করে নেয়। এরপর পুলিশ মামলার ফাইনাল রিপোর্ট দেয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর