রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) এলাকা ও জেলার প্রতিটি উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে আজ শনিবার সকাল থেকে করোনার গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশন এবং জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় এই কার্যক্রম চলছে। তবে প্রথম দিন টিকার জন্য উপচে পড়া ভিড় থাকায় কয়েকটি কেন্দ্র থেকে অব্যবস্থাপনারও খবর পাওয়া গেছে।
এসব কেন্দ্রে সকাল থেকেই মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু প্রথম দিনের বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রে আসা সবাইকেই টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। আবার কোনো কোনো কেন্দ্রে টিকা প্রত্যাশীদের অনেক পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা পৌঁছেছেন বলেও অভিযোগ আছে। শনিবার রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ৮৪টি কেন্দ্রে শনিবার থেকে একযোগে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।
এই বিশেষ গণটিকা কার্যক্রম চলবে আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত। ছয়দিনের এই ক্যাম্পেইনে এক লাখ ৫০ হাজার মানুষকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে রাসিক। প্রতিদিন ২৫ হাজার জনকে মর্ডানার প্রথম ডোজ টিকা প্রদান করা হবে। এছাড়া রাজশাহী জেলার ৭৩টি ইউনিয়নে গণটিকা কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে শনিবারই চলেছে। ইউনিয়নের প্রতিটিতে তিনটি করে বুথ ছিল।
রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার জানান, জেলার নয়টি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে পরীক্ষামূলক গণটিকা কার্যক্রম চলেছে। আগামী ১৪ আগস্ট থেকে পুরোদমে টিকা কার্যক্রম চালু হবে। শহর এলাকায় মডার্নার টিকা এবং ইউনিয়নগুলোতে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিন কোথাও কোথাও সামান্য বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতেই পরীক্ষামূলক এই কার্যক্রম।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর