৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৯:২১
রামেক হাসপাতাল

আউটডোর প্যাথলজিতে পরীক্ষা হচ্ছে ৬০ শতাংশ রোগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

আউটডোর প্যাথলজিতে পরীক্ষা হচ্ছে ৬০ শতাংশ রোগীর

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে খোলা হয়েছে আউটডোর প্যাথলজি। এখানে ভর্তিরতসহ বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা ৬০ শতাংশ রোগীর পরীক্ষা করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন রোগীর খরচ কমছে, তেমনি কমছে হয়রানিও। আগামী তিন মাসের মধ্যে শতভাগ পরীক্ষা হাসপাতালের প্যাথলজিতে করার পরিকল্পনা নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

সূত্র জানান, রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা মাত্র ১০ শতাংশ রোগীর পরীক্ষা হতো হাসপাতালের প্যাথলজিতে। বাকিদের ভরসা বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো। এতে রোগীদের খরচ বাড়ত, রোগ নির্ণয়ের রিপোর্ট নিয়েও দেখা দিত জটিলতা। অক্টোবরে এ হাসপাতালে খোলা হয়েছে আউটডোর প্যাথলজি। সরাসরি ওয়ার্ড থেকেই নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এজন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে খোলা হয়েছে নমুনা সংগ্রহ বুথ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দেওয়া হচ্ছে রিপোর্ট।

রামেক হাসপাতাল প্যাথলজি বিভাগের ইনচার্জ ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহমুদা নাজনিন জানান, বেশির ভাগ পরীক্ষা এখন এখানেই করা সম্ভব হচ্ছে। বহির্বিভাগের রোগীরা এখানে পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসক দেখিয়ে চলে যেতে পারছেন। ভর্তি রোগীদের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। হাসপাতালের বাইরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হতো রোগীদের। তবে এ প্যাথলজিতে সরকার নির্ধারিত ফি দিয়েই করা হচ্ছে পরীক্ষা। যা বাইরের যে কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তুলনায় অনেক কম।

একাধিক রোগীর স্বজন জানান, বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করতে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হতো তার চেয়ে অনেক কম বা অর্ধেক টাকায় রামেক হাসপাতালের প্যাথলজিতে করা সম্ভব হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা শতভাগ রোগীর পরীক্ষা আউটডোর প্যাথলজিতে করা সম্ভব হবে।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম ইয়াজদানি জানান, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে অখ্যাত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে পরীক্ষা করান। যেখানে পরীক্ষা করাচ্ছেন সেটি সঠিক তারও কোনো নিশ্চিয়তা নেই। এমন একটি রিপোর্টের আলোকে চিকিৎসা করতে গিয়ে অনেক সময় ভুল হয়। সন্দেহযুক্ত পরীক্ষা দিয়ে রোগীর চিকিৎসা করা জটিল। তাই হাসপাতালের প্যাথলজিতেই পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এখন ৫৫ থেকে ৬০ ভাগ রোগীর পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে শতভাগ পরীক্ষা হাসপাতালের প্যাথলজিতে করার পরিকল্পনা আছে তাদের। আগে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালদের দৌরাত্ম্য ছিল হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোয়। আউটডোর প্যাথলজি চালুর পর ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধি প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
 
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর