রাজশাহীতে নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফুলে ফুলে ভরে ওঠে রাজশাহীর শহীদ স্মৃতিসৌধগুলো। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা এবং সাধারণ মানুষ পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছেন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের।
এদিন বেলা ১১টায় রাজশাহী মহানগরীর টি-গ্রোয়েন এলাকায় বাবলাবন বধ্যভূমিতে থাকা স্মৃতিসৌধে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে কাউন্সিলররা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর অন্যারা বধ্যভূমির স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে সকাল ৯টায় রাজশাহী কোর্ট চত্বর শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. হুমায়ুন কবীর, রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুল জলিল, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক ও রাজশাহী পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।
এদিকে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসন, আবাসিক হল ও অন্যান্য ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হয়।
এরপর সকাল সাড়ে ৭টায় মৌন মিছিল নিয়ে উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু, উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও প্রফেসর মো. সুলতানুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার আবদুস সালাম, প্রক্টর লিয়াকত আলীসহ রাবি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
অন্যদিকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (রুয়েট) যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসের প্রথম প্রহরে রুয়েট উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে রুয়েটের শহীদদের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এরপর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে দোয়া করে এবং মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে প্রথম প্রহরের কর্মসূচি শেষ হয়।
রাজশাহী মহিলা কলেজ মাঠে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর