রংপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে বেড়েছে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশা। রাত থেকে কুয়াশায় ঢাকা থাকছে প্রকৃতি। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। শীতের প্রকোপ বাড়ায় গ্রাম-শহর সর্বত্রই ভিড় দেখা যাচ্ছে কাপড়ের দোকানগুলোতে।
রংপুর নগরীর সুরভি উদ্যানের সামনে, সিটি করপোরেশনের সামনে, স্টেশন বাজার পুরাতন কাপড়ের মার্কেট, শাহ মো. সালেক মার্কেট, শাহ জামাল মার্কেট, সুরভি উদ্যানের পাশে ফুটপাতের মার্কেট, হনুমানতলা মার্কেটে সবচেয়ে বেশি গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে। এই কয়েকটি মার্কেটে ছোট-বড় প্রায় ৫০০টি দোকান রয়েছে। শীতকে কেন্দ্র করে ঢাকা থেকেও অনেকেই এখানে ব্যবসা করতে আসেন।
এছাড়া সাতমাথা, মাহিগঞ্জ, চকবাজার, মডার্ন মোড়ে শীতের কাপড়ের অনেকগুলো মার্কেট রয়েছে। নগরীর ফুটপাতগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। স্বল্প আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের মানুষের ভিড় এখন রংপুরের পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে। বিদেশি পুরনো কাপড়ের চাহিদা বেশি। এছাড়া নগরীর অভিজাত মার্কেটগুলোতে শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে।
তবে, গত বছরের চেয়ে এবারে পুরাতন কাপড়ের দাম অনেক বেশি বলে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন। ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর পুরাতন কাপড়ের দাম মহাজনরা বেশি করে নিচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বছর শীতের সময় মহাজনদের কাছ থেকে গরম কাপড়ের গাইট নিয়ে তা খোলা বাজারে খুচরা বিক্রি করেন তারা।
গত বছর বাচ্চাদের যে কাপড় ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল তা এবার ৭০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড়দের যে কাপড় ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় কেনা গেছে, এবার তা কিনতে হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। এছাড়া কম্বলের দামও বেড়েছে। প্রকার ভেদে একটি কম্বল দেড়শ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কোট, জ্যাকেট, সোয়েটার, ট্রাউজার, ওভারকোট, ফুল হাতা গেঞ্জি, কম্বল, মেয়েদের কার্টিগান, হাতমোজা ও পা মোজার ক্রেতার সংখ্যা বেশি।
সুরভী উদ্যানের পাশে ফুটপাতের ব্যবসায়ী আমিন উদ্দিন জানান, কোনো কোনো গাইটের ভেতর ছেঁড়া-ফাটা কাপড় থাকে, যা মহাজনরা ফেরত নিতে চান না। এর ফলে লোকসান গুনতে হয়। তাই দাম কিছুটা বেশি।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার রংপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমার শঙ্কা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর