চিকিৎসক স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও বাসায় অবরুদ্ধ রেখে যৌতুক দাবির মামলায় বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. টিপু সুলতানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে স্বামী ও শ্বশুরসহ অন্যদের আসামি করে গৌরনদী থানায় মামলা করেন টিপু সুলতানের স্ত্রী আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মিলাদুজ্জাহান ইরা। মামলা দায়েরের পরপরই ওই রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গৌরনদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন জানান, ২০২১ সালের ১৩ আগস্ট গৌরনদীর নলচিড়া গ্রামের বাদশা ফকিরের ছেলে ডা. টিপু সুলতানের সঙ্গে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার দৈয়ারা এলাকার মো. আব্দুল আলিমের মেয়ে ডা. মিলাদুজ্জাহান ইরার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী ডা. টিপু সুলতান তার নির্মাণাধীন ভবনের কাজ সম্পন্ন করার জন্য স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুক না দেওয়ায় প্রায়ই স্ত্রীকে (ইরা) শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন তিনি।
সব শেষ গত ৩ এপ্রিল দুপুরে ডা. টিপু সুলতান গৌরনদী এবি সিদ্দিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তৃতীয় তলার ল্যাব রুমে ডা. ইরাকে আটকে শারীরিক নির্যাতন করে। ৪ এপ্রিল রাতে টিপু সুলতানের গ্রামের বাড়ি নিয়ে ইরাকে ফের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে গৃহবন্দী করে রাখা হয়।
একপর্যায়ে স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে গত ১২ এপ্রিল দুপুরে গৌরনদী থানায় গিয়ে স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন ডা. ইরা। অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণের পর ওই রাতেই স্বামী টিপু সুলতানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বুধবার আদালতে নেওয়ার পথে আসামি ডা. টিপু সুলতান সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আমার স্ত্রী আমাকে বদলি হয়ে কুমিল্লা নিতে চাপ সৃষ্টি করছিল। এতে রাজি না হওয়ায় মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়্যিদ মো. আমরুল্লাহ জানান, এ বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই