শিরোনাম
৩০ জুন, ২০২২ ১৫:৫২

সিন্ডিকেট আতঙ্কে রংপুরে চামড়া ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

সিন্ডিকেট আতঙ্কে রংপুরে চামড়া ব্যবসায়ীরা

ফাইল ছবি

চামড়া ব্যবসায়ীদের হতে নগদ টাকা নেই। ব্যাংক থেকেও ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিগত দিনের বকেয়া পরে রয়েছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ট্যানারিগুলোতে। উত্তরাঞ্চলে প্রায় একহাজার চামড়া ব্যবসায়ী টাকার অভাবে এবার চামড়া ক্রয় করতে পারবেন না বলে সন্দিহান হয়ে পড়েছে। গত বছরের মত এবারো অর্ধেক দামে ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম নিয়ন্ত্রণ করবে এমনটা শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

ক’দিন পরেই কোরবানির ঈদ। ঈদকে ঘিরে চামড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে সাজ সাজ রব লক্ষ্য করা গেলেও গত ২/৩ বছর থেকে ব্যবসার পুঁজি তোলা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেটের হাত থেকে মুক্তি চায়। সেই সাথে চামড়া ক্রয়ের জন্য সরকারি ভাবে ঋণ চায়। 

চামড়া ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের প্রতি বছর কোরবানির সময় প্রতিটি জেলায় দু’ থেকে আড়াই লাখ পিচ চামড়ার আমদানি হতো। সেই হিসেবে প্রতি বছর কোরবানির সময় ৩৫ থেকে ৪০ লাখ পিচ গরুর চামড়া আমদানি হয়। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা এবার সেই লক্ষ্য পূরণ নাও হতে পারে। রংপুরে কয়েক বছর আগেও ২’শ ওপর চামড়ার গোডাউন ছিল। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ২৫ থেকে ৩০টিতে। 

এদিকে চামড়ার দাম এ পর্যন্ত নির্ধারণ না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। তাদের আশঙ্কা গত বছরের মত সিন্ডিকেট করে ট্যানারি মালিকরা এবারও চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে। চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর অর্ধেক দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। ক্রেতা না থাকায় অনেকে খাসির চামড়া ফেলে দিয়েছেন। এবারও এমনটা হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।  

এ প্রসঙ্গে রংপুর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ খান বলেন, উত্তরাঞ্চলের চামড়া ব্যবসায়ীদের ২’শ কোটির বেশি টাকা ট্যানারিগুলোতে বকেয়া রয়েছে। সেই টাকা পাওয়ার কোনো আশা নেই। সরকার বড় বড় ট্যানারিদের কোটি কোটি ব্যাংক ঋণ দেয়। কিন্তু চামড়া ব্যবসায়ীদের কোন প্রকার ব্যাংক ঋণ দেয়া হয় না। ফলে চামড়া ব্যবসায়ীরা ধার দেনা করে এ ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছেন।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর