ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা সুরক্ষিত ও সুসংগঠিত করার লক্ষে ‘কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদ’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি করা হয়েছে প্রিন্সিপাল মাওলানা মিজানুর রহমান চৌধুরী পীর সাহেব দেওনা। যিনি হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির। আর মহাসচিব হয়েছেন জামিয়া ইসলামিয়া তালীমুস সুন্নাহ থানুভীনগর মুগদার মুহতামিম মাওলানা মুস্তাকিম বিল্লাহ হামিদী। কওমি অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা দূর করতেই নতুন এই উদ্যোগ বলে জানান সংগঠনের নেতারা।
শনিবার গাজীপুর কাপাসিয়া দেওনায় অবস্থিত মাদরাসায় দাওয়াতুল হকে উলামা মাশায়েখ সম্মেলনে এই অরাজনৈতিক সংগঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে খাদেমুস সুন্নাহ অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী পীর সাহেব দেওনা-কে সভাপতি, মাওলানা আশেকে মোস্তফাকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী, মাওলানা আব্দুল বাসেত খান সিরাজগঞ্জী, সূফি ইকবাল নরসিংদী, মাওলানা হামেদ জাহেরীকে সহ-সভাপতি, মাওলানা মুস্তাকীম বিল্লাহ হামিদীকে মহাসচিব, মুফতি দ্বীন মুহাম্মদ আশরাফ, কাজী মুঈনুদ্দীন আহমদ, মুফতি রাফি বিন মুনিরকে যুগা মহাসচিব, হাফেজ মাওলানা জাকারিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহকে কোষাধ্যক্ষ, মাওলানা আব্দুল বাতেন কাসেমীকে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, মাওলানা আব্দুল হক হক্কানীকে প্রচার সম্পাদক, শাইখুল হাদীস মাওলানা আব্দুল মাজীদ সাহেবকে প্রশিক্ষণ সম্পাদক, মুফতি ইরশাদুল ইসলাম আলমগীরকে শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ সম্পাদক, মুফতি নজরুল ইসলামকে ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক, মাওলানা হারুন অর রশীদ বিক্রমপুরীকে দপ্তর সম্পাদক, মাওলানা ইমাদুদ্দীনকে প্রকাশনা সম্পাদক, সুফি মাইনুর রহমানকে আন্তর্জাতিক সম্পাদক, এ্যাড. মতিউর রহমানকে আইন সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। মাওলানা ইমদাদুল্লাহ সাহেব, মুফতি আহমদ আলী সাহের প্রমুখকে উপদেষ্টা নির্বাচিত করা হয়।
পরে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সভাপতি প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমান বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা আজ অস্তিত্ব সঙ্কটে। জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচনের ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না।
এসময় সরকারের কাছে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো, জাতীয় শিক্ষা কমিশনে হক্কানী আলেমদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। পাবলিক সিলেবাসে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। পাবলিক পরিক্ষায় ধর্ম বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। সারাদেশে এই দাবির পক্ষ জনমত গড়ে তোলা হবে ইনশাআল্লাহ।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন