রংপুরে বিএনপির গণঅবস্থানকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সতর্ক অবস্থান নিয়ে দিনভর নগরীতে ছিল টান টান উত্তেজনা। নগরবাসীর মধ্যে ছিল আতঙ্ক। বুধবার দুপুরে নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে রংপুর বিভাগীয় বিএনপি’র আয়োজনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
অপরদিকে বিএনপির গণঅবস্থানে যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় নগরীর বঙ্গবন্ধু চত্বরে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়া বাটর গলির সামনে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতকর্মীরা।
গণঅবস্থানে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, মাঠে তো এখন শুধুই বিএনপি। জনগণের অধিকার আদায়ে বিএনপি সক্রিয় আছে-আগামীতেও থাকবে। বিএনপি ঘোষিত আন্দোলনের ১০ দফা এবং রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের দাবিতে রংপুর বিভাগীয় গণঅবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু’র সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশীদ, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলু, বিএনপির চেয়ারপার্সনের সাবেক বিশেষ সহকারী এম এ জলিলসহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
গণঅবস্থান কর্মসূচিতে রংপুর বিভাগের আট জেলা, রংপুর সিটি করপোরেশন, জেলার আট থানার বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নন। এর আগে সকাল থেকেই গণঅবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন। বিএনপির কর্মসূচিতে গ্র্যান্ড হোটেল মোড়, জীবনবীমা মোড় ও শাপলা চত্বর পর্যন্ত রাস্তার একপাশে চট বিছিয়ে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। এসময় রংপুর নগরীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
অপরদিকে বঙ্গবন্ধু চত্বরে মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইদ্রিস আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম, সাবেক সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, সাবেক সহ-সভাপতি কাওছার রাশেদ খান শরিফ, অ্যাডভোকেট দিলশাদ মুকুল, নবী উল্লাহ পান্না, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নওশাদ রশিদ ও নিধুরাম অধিকারী প্রমুখ।
মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম জানান, বিএনপি যদি গণঅবস্থান কর্মসূচির নামে রংপুরবাসীর কোনো ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করে, তাহলে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা তা প্রতিহত করবে।
এদিকে, রংপুর জেলা ছাত্রলীগ নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড় এলাকায় বাটারগলির সামনে সতর্ক অবস্থান নেয়। সব মিলিয়ে দেখা গেছে গণঅবস্থান ও সতর্ক অবস্থান নিয়ে নগরীতে সাধারণ মানুষজন আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই