রাজধানীর গুলশানের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে সুস্থ তিনজনের মধ্যে দুইজন হাসপাতাল ছেড়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে দুইজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তারা হলেন মো. মুসা সিকদার (৩৩) ও রওশন আলী (৩৫)। বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, তারা বিকোলের দিকে বাড়ি চলে গেছেন।
আহত দু’জনের মধ্যে মুসা শিকদার গাড়ি চালক। রওশন আলী অফিস সহকারি (পিয়ন)। রবিবার আগুনের ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন মুসা সিকদার ও রওশন আলী।
আগুন লাগার সময় ভবনের ১০ তলায় ছিলেন রওশন আলী। তিনি ১০ তলার একটি ফ্ল্যাটের বাসিন্দার বাসায় দাপ্তরিক কাজে গিয়েছিলেন। মুসা সিকদার ওই ফ্ল্যাটের গাড়িচালক।
গুলশানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সমন্বয়কারী চিকিৎসক সামন্ত লাল সেন বলেন, গুলশান অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য ২৫ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
তিনি জানান, এখন শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ফাহিম সিনহার স্ত্রী শ্যামা রহমান সিনহা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)-তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত শ্যামা রহমান সিনহাকে আশংকা মুক্ত বলা যাবেনা। তার ইনহ্যালিশন বার্ন আছে। রবিবার রাত ১১টার দিকে আহত অবস্থায় তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন বলেন, শ্যামা রহমান সিনহা ভবনের ছাদ থেকে সুইমিংপুলে লাফ দিয়েছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তার চিকিৎসা চলছে।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় গুলশান-২-এর একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সন্ধ্যায় লাগা আগুন রাত ১১টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে দুইজন মারা গেছেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ