২৮ মে, ২০২৩ ১৩:০৩
হত্যার ৪ বছর পর গ্রেফতার

মাদক কারবারিদের ধরিয়ে দেওয়ায় হত্যা : মূল আসামি শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক

মাদক কারবারিদের ধরিয়ে দেওয়ায় হত্যা : মূল আসামি শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার

গ্রেফতার আসামি রনি

মাদক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দেওয়ার কারণে আব্দুল ওহাব নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলার মূল আসামি রনিকে (৩০) চার বছর দুই মাস পর গ্রেফতার করেছে পিবিআই।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার ছোট ভবানীপুর (ম্যাজিস্ট্রেটবাড়ি) এলাকায় শ্বশুর বাড়ি থেকে আজ রবিবার ভোররাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার রনির বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া থানার কান্দিরপাড় গ্রামে। তার বাবার নাম হালিম খোকন।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পিবিআই ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পিবিআইয়ের একটি বিশেষ টিম পুলিশ পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পন্ডিত, এসআই সোহরাব হোসেন মোল্লা, এএসআই হুমায়ুন আহমেদ এই অভিযানে ছিলেন। 

পিবিআই জানায়, ২০১৯ সালের ১০ মার্চ রাতে অজ্ঞাতনামা আসামিরা ভিকটিমকে ডেকে ঢাকার খিলগাঁও থানাধীন উত্তর গোড়ান ভূঁইয়ার ঝিলপাড় শেখ রাসেল মাঠে নিয়ে যান। সেখানে তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন তারা। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে রাজধানীর পান্থপথের ইউনিহেলথ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ১১ মার্চ সকাল ৮টায় তিনি মারা যান।

নিহত আব্দুল ওহাবের (৪২) বাবার নাম হাতেম আলী হাওলাদার। তার বাড়ি ঝালকাঠির নবগ্রাম ইউনিয়নের শিমুলেশ্বর গ্রামে। তিনি মাদক উদ্ধারে পুলিশকে সহযোগিতা করতেন।

ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী সুইটি বেগম (৩০) বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহার দায়ের করলে তদন্ত সংস্থা ডিএমপির ডিবি মামলাটির তদন্তকালে দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে দুইজন আসামি নিজেদের নাম জড়িয়ে মোট পাঁচজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে দুইজন আসামির নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাদের বাদ দিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালত পূর্ববর্তী তদন্ত সংস্থার দাখিল করা অভিযোগপত্র অগ্রায্য করে ওই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উল্লিখিত আসামি রনি ও শাওনের সঠিক নাম-ঠিকানা উদ্ধারসহ অধিকরত তদন্তের জন্য স্ব-প্রণোদিত হয়ে পিবিআইকে নির্দেশ দেন। পরে ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলাটির তদন্তভার পিবিআই (ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ) পায়। এরপর প্রথমে এসআই শাহানাজ ফাতেমাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্তাধীন অবস্থায় তার অন্যত্র বদলি হওয়ায় পুলিশ পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পন্ডিত এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান। পরে তিনি এই দুই আসামির সঠিক নাম-ঠিকানা উদ্ধার ও গ্রেফতারে তৎপর হন। অবশেষে আজ ভোররাতে রনিকে গ্রেফতার করা হয়।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর