সাইরেনের শব্দ, তেল আবিবের আকাশে আতঙ্ক আর ধোঁয়া। ইসরায়েল এবং পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে এখন একটাই প্রশ্ন, এরপর কী? গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও অবরুদ্ধতার প্রতিক্রিয়ায় ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে একটি নির্ভুল সামরিক অভিযান চালানোর দাবি করেছে।
ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার (১০ জুন, ২০২৫) পরিচালিত এই অভিযানে দুটি অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হাইপারসনিক 'ফিলিস্তিন ২' ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি 'জুলফিকার' ক্ষেপণাস্ত্র। বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করে সরাসরি বিমানবন্দরে আঘাত হেনেছে।
এই হামলার ফলে তেল আবিবসহ আশপাশের এলাকায় বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছ। বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে বাধ্য করা হয়েছে এবং আকাশজুড়ে বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠেছে। ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী ঘোষণা করেছে, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া এবং অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিবৃতিতে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। বিমান সংস্থাগুলিকে অবিলম্বে সমস্ত ফ্লাইট স্থগিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। হোদেইদাহে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায়, ইয়েমেনি বাহিনী কোম্পানিগুলিকে হাইফা বন্দরের সাথে যুক্ত না হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে, কারণ এটি এখন একটি মনোনীত লক্ষ্য।
সূত্র: প্রেস টিভি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল