রাজধানীতে কোতোয়ালি গুলশান ও কদমতলী থানার নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির ২৮ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এসব মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এরমধ্যে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার মামলায় বিএনপির ৯ নেতাকর্মীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আবু তাহের, পারভেজ আলম, রজব আলী পিন্টু, সাখাওয়াত হোসেন, রিয়াজ আহমেদ, রিয়াজ, ইমরান হোসেন, শওকত, নবকুমার দত্ত ও আরিফ হোসেন বাপ্পি। আসামিরা সবাই পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানার জিন্দাবাদ এলাকায় অবৈধ সমাবেশ করে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাঙচুরসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটায়। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর হামলা করে জখম করে। ওইদিনই পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করে।
এদিকে, রাজধানীর গুলশান থানার নাশকতার মামলায় ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন একই আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শাহজাহান কবীর, শরিফুল ইসলাম, তোফায়েল, কামাল হোসেন, মীর স্বপন, ওয়াহিদুল ইসলাম, মামুন চৌধুরী, আব্দুল জলিল, রফিকুল ইসলাম, মো. জয়নাল, আকরাম ও সিদ্দিকুর রহমান। এই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গুলশান থানা এলাকার প্রগতি সরণীর শাহজাদপুর কনফিডেন্স সেন্টারের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা বেআইনি সমাবেশ করে। এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় ওইদিন পুলিশ বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করে।
অন্যদিকে, রাজধানীর কদমতলী থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ৮ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সুলতান সোহাগ উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. শরীয়ত উল্লা, মো. মুজাহিদ, মীর মো. আসাদুজ্জামান কাকন, সুমন চৌধুরী, মো. আমিন মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, হারুন অর রশিদ মিশু।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের নভেম্বরে কদমতলী থানা এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতা করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কদমতলী থানায় একটি মামলা করে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত