আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘দেশের প্রতি আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি দরদ কারও নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়ন করেছে, মানুষের কল্যাণ করেছে। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। নৌকা মার্কা স্বাধীনতার প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক। ৭ জানুয়ারি সারাদিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন।’
আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের আয়োজনে শনিবার বিকেলে নওহাটা গরুর হাট সংলগ্ন মাঠে বিশাল নির্বাচনি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে মানুষকে সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় এনেছেন। বিভিন্ন ভাতা প্রদান করেছেন। আজ মানুষ তার প্রতিদান দিতে চায়। আজকে শীত উপেক্ষা করে হাজার হাজার নারী-পুরুষ সভায় এসেছেন। এটি প্রমাণ করে শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতি বৃথা যায়নি।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, যখন নির্বাচন আসে তখনই বিএনপি জামায়াত-নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না। তারা জনগণের রায়ের মুখোমুখী হতে ভয় পায়। সেকারণে তারা নির্বাচনে অংশ নেয় না। তারা বলার মতো কোন ইতিবাচক কাজ করেনি। বিধায় তারা নির্বাচনে না এসে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। তারা বিদেশিদের কাছে বলতে চায়, ‘এই নির্বাচনে জনগণ অংশ নেয়নি, ভোট দিতে আসেনি, কাজেই এই নির্বাচনের রায় মেনে নেওয়া যায় না।’ সেই কারণে তাদের মুখে ছাই দেওয়ার জন্য আজকের এই নির্বাচনি সভায় হাজার হাজার মানুষ এসেছেন। ৭ জানুয়ারি সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে যাবেন। ৭ জানুয়ারি কেউ ভোট প্রদানে বাধা দিতে আসলে তাদেরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো। যে সিন্ডিকেট আছে, সেটি ভেঙে দেওয়া হবে। আগামী ৫ বছরে ১ কোটি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। শেখ হাসিনা যা বলেন, সেটিই করেন।
নির্বাচনি সভার প্রধান বক্তার বক্তব্যে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমার রাজনীতির অতীত মানুষকে সম্মান করা। আমার রাজনীতির পথচলা ঐক্যবদ্ধভাবে এলাকার উন্নয়নে নিজেকে সমাদৃত করা। সেই সুযোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দিয়েছেন। আমি সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের হাত ধরে পবা-মোহনপুরের উন্নয়ন বেগবান করতে চাই। আমি রাজনীতি করি সম্মান অর্জনের জন্য, অর্থ উপার্জনের জন্য নয়। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিবেদিত মানুষ। আগামীতে খায়রুজ্জামান লিটনের হাত ধরে পবা-মোহনপুরের উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই।
পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী নির্বাচনি সভায় সভাপতিত্ব করেন। পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নওহাটা পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল