রাজধানীর মহাখালীস্থ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর অডিটোরিয়ামে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হলো সদ্য চাকুরীপ্রাপ্তদের পাঁচদিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সনদ বিতরণ শেষে যৌতুকবিহীন বিয়ের শপথবাক্য পাঠ করানো হয়।
কোনো প্রকার ঘুষ ছাড়াই স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে চাকুরী পেলেন ১৭৩ জন। নব্বই হাজারেরও বেশি পরিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে মেধা তালিকার ভিত্তিতে তাদের বেছে নেয়া হয়। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্সের ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষে নানা চ্যালেঞ্জ থাকা স্বত্বেও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শতভাগ স্বচ্ছ থেকেছেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আদর্শ সহযোগী হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ঘুষবিহীন সরকারি চাকুরী পেয়ে প্রশিক্ষণ শেষে সনদপ্রাপ্তরা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এই কান্না আনন্দের। এই কান্না ঘুষ না দিয়ে সরকারি চাকুরী নামক সোনার হরিণ ধরতে পারার আনন্দে। চাকুরীতে যোগদানের প্রথম দিনে তারা তুলে ধরেন তাদের নানা তিক্তময় অভিজ্ঞতার কথা। ঘুষ না দিয়ে চাকুরী পেয়ে শপথ নেন দেশ ও জাতীর কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার।
চাকুরীপ্রাপ্তরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান আরও বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় দ্রুত শূণ্য পদগুলোতে নিয়োগ দেয়া হবে। পরীক্ষায় অংশ নেয়ার ২৬ দিনের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে ১৭৩ জন নিয়োগ পেয়েছেন। এটি সত্যিই গর্বের বিষয় | কর্মস্থলে দায়িত্ব বুঝে নেয়ার আগে ৫ দিনের প্রশিক্ষণ নেন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তরা।
সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তার নেতৃত্বেই ঘুষবিহীন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তরা যৌতুকবিহীন বিয়ের শপথবাক্য পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান, সচিব কামরুল হাসান, অধিদপ্তরেরস মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ |
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ