মহান মে দিবসসহ টানা তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতের সবক’টি পয়েন্ট লোকে লোকারণ্য। তিল ধারণের ঠাঁই নেই বিস্তৃত বালিয়াড়িসহ সৈকতের কোথাও।
সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে শুরু করে মেরিন ড্রাইভের ইনানী, পাটুয়ারটেক পাথুরে সৈকত পর্যন্ত পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে। কক্সবাজার সাগর পাড়ের হোটেল, গেস্ট হাউসও এখন টইটম্বুর পর্যটকে।
তপ্ত রোদেও সৈকতে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের মনে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করেই দীর্ঘতম সৈকত মেতেছে লাখো পর্যটকের উল্লাসে। সাগরের নীল জলরাশিতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন আগত পর্যটকরা। তাদের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
হোটেল দি স্যান্ডি বিচের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুর রহমান বলেন, টানা ছুটি পেলেই পর্যটকরা ছুটে আসছেন সাগরপাড়ে। এতে খুশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হোটেল-রেস্তোঁরা ব্যবসায়ীরা।
আগত পর্যটকের বেশিভাগই ব্যস্ত সমুদ্র স্নানে। তাই সমুদ্রস্নানে নেমে কোনো পর্যটক যেন বিপদাপন্ন পরিস্থিতিতে না পড়েন সেজন্য সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে লাইফগার্ড সদস্যরা। আর গোসলে জন্য পর্যটকদের নির্দেশনা মেনে সাগরে নামার পরামর্শ দিয়েছেন সি সেইফ লাইফ গার্ডের সুপারভাইজার ওসমান গনি।
কক্সবাজার আবাসিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, পর্যটক আগমনের এই হার আজ শনিবার পর্যন্ত বহাল থাকবে। শুক্রবার লাখের অধিক পর্যটক এসেছে বলে জানান তিনি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রস্তুতি নেয়া আছে। এখন পর্যন্ত কোন সমস্যার কথা কানে আসেনি। পর্যটকদের সুবিধার জন্য হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল