ঢাকার প্রাণকেন্দ্র পল্টনের 'ঐতিহাসিক মুক্তাঙ্গন'-কে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সভা-সমাবেশ অথবা জনসাধারণের চলাচলের জন্য দখলমুক্ত করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা। সংস্থাটির মহাসচিব নজরুল ইসলাম বাবলু আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
নজরুল ইসলাম বাবলু বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ছবক হিসেবে আওয়ামী লীগ ঢাকার মুক্তাঙ্গন ও ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানকে বিনোদন পার্ক করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে মুক্তাঙ্গন ও ঐতিহাসিক পল্টন ময়দান হয়ে উঠে রাজনৈতিক দলগুলোর কথিত কিছু দখলবাজ, চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজদের চত্রছায়ায় পার্কিং বাণিজ্য। মুক্তাঙ্গনের ভেতরে এবং সচিবালয়ের পথ ঘেঁষে দুই পাশ জুড়ে গড়ে তোলে অবৈধ গাড়ি পার্কিং।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মিলে প্রতিটি গাড়ী থেকে দৈনিক ১৫০০ টাকা এবং নতুন করে এককালীন ভাড়া বাবদ পনেরো হাজার টাকা করে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে এসকল চাঁদা নেওয়ার পিছনে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের যৌথ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, সন্ধ্যার পর মুক্তাঙ্গন জুড়ে চলে মাদক বেচাকেনা এবং নেশাগ্রস্তরা নিরিবিলি বসে সেবন করে।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় মুক্তাঙ্গন থেকে আওয়ামী চাঁদাবাজ -দখলবাজরা ছাত্র জনতার উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ৫ আগস্টের পর বিএনপিপন্থী চাঁদাবাজ-দখলবাজরা তড়িঘড়ি করে একটি কথিত কমিটি করে চাঁদাবাজি করছেন। বর্তমানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের যৌথ সিন্ডিকেট মুক্তাঙ্গন নিয়ন্ত্রণ করছে।
তিনি বলেন, অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে প্রতিদিন পল্টন থেকে গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত তীব্র যানজট দেখা যায়। অন্যদিকে গাড়ী পার্কিংয়ের কারণে মুক্তাঙ্গন ও পল্টন যাত্রী ছাউনির নাম নিশানা প্রায় মুছে যাওয়ার মত। এখানকার দখলবাজ-চাঁদাবাজদের হাতে বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষের লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। অবিলম্বে মুক্তাঙ্গনকে রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশ অথবা জনসাধারণের চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দিতে এবং অবৈধ গাড়ি পার্কিং বন্ধ করার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসন, পল্টন থানাসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ