রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দনিয়া কলেজের ছাত্র মিনহাজ হত্যা মামলায় ছয় আসামির বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার আসামিদের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালতে উপস্থিত করা হয়। এরপর প্রত্যেক আসামির সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম সবুজ, মো. কাইয়ুম হোসেন নয়ন ও মো. সাদিকুর রহমান ভূঁইয়া সোহাগ। অন্যদিকে, আসামিদের রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আসামি মো. মাহফুজ সরকার ওরফে কিং মাহফুজের (২২) পাঁচদিন এবং অন্য আসামি মো. জাহিদুল ভূঁইয়া শাওন (২৭), মো. সাব্বির সরকার (১৮), মো. আশিক (২২), মো. কাওছার মিয়া (২৩) ও শাহ আলমের (২৪) তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। এ ছাড়াও গ্রেফতারকৃত অপর আসামি সোহান মিয়া বয়সে শিশু হওয়ায় তাকে শিশু আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিন আসামিদের আদালতে তোলার সময় নিহত মিনহাজের সহপাঠীরা আসামি কিং মাহফুজসহ সাত আসামির দিকে তেড়ে যায় এবং জুতাপেটা করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আসামিদের আদালতে তোলেন। এরপর শুরু হয় রিমান্ড শুনানি।
এর আগে, ৩১ জানুয়ারি পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিহত মিনহাজ যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ২৬ জানুয়ারি দনিয়া কলেজে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মিনহাজের সঙ্গে মাহফুজ ওরফে কিং মাহফুজসহ অন্য আসামিদের তর্ক হয়। পরে ২৮ জানুয়ারি বিকেলে মিনহাজ ও তার বন্ধু আহাদ দনিয়া কলেজের সামনে গেলে সেখানে কিং মাহফুজসহ অন্য আসামিরা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মিনহাজকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। গুরুতর আহত মিনহাজুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত মিনহাজের বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে কিং মাহফুজসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই