রাজধানীর বংশালে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির বংশাল থানা পুলিশ।
সোমবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে সূত্রাপুর ও কোতয়ালী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. রাশেদুজ্জামান (৪২), আলমগীর হোসেন (৬৫) এবং আব্দুল জলিল (৬৯)।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বংশাল থানার বরাত দিয়ে তিনি জানান, গ্রেফতার তিনজনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় এক বা দুইজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী জানান- দেড় বছর আগে মো. রাশেদুজ্জামানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে সে ভুক্তভোগীকে তার বাসায় কাজের প্রস্তাব দেয়। প্রথমে রাজি না হলেও পরে কাজে যোগ দেন তিনি। এরপর রাশেদুজ্জামান তাকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দেয়।
মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বংশালের সাতরওজা এলাকায় রাশেদুজ্জামান তার বাসায় ভুক্তভোগীর সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে ভিডিও ধারণ করে। এই ভিডিও ব্যবহার করে রাশেদুজ্জামান অন্য গ্রেফতারকৃতদের সঙ্গে ভুক্তভোগীকে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে এবং প্রতিটি ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রকাশের হুমকি দিয়ে ভিকটিমের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে রাশেদুজ্জামান।
তিনি বলেন, মামলার পর সোমবার (৪ আগস্ট) রাত আনুমানিক ১টা ৪৫ মিনিটে সূত্রাপুর থানার রায়সাহেব বাজার এলাকায় মো. রাশেদুজ্জামান ও আলমগীর হোসেনকে এবং এর কিছুক্ষণ পর কোতয়ালী থানার পপুলার হাসপাতালের সামনে থেকে আব্দুল জলিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা এ ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ