বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা-র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার সকালে রাজধানীর তোপখানা রোড কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এক শোভাযাত্রা-র্যালি পুরানা পল্টন মোড় হয়ে সচিবালয়ের পাশ দিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেত হয়।
শোভাযাত্রার কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের প্রেসিডিয়াম মেম্বার জাতীয় শ্রমিক জোট সভাপতি কমরেড মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনের মহাসচিব বদরুল আলম সবুজ বলেন, নবম বেতন কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নে কর্মচারীদের অতন্দ্র প্রহরীর মত কাজ করতে হবে। একই সাথে বৈষম্য নিরসনে বিদ্যমান ২০টি গ্রেডকে ভেঙে ১০ ধাপে বেতন নির্ধারণ, সচিবালয়ের ন্যায় সমকাজে সমমর্যাদা ও পদবি পরিবর্তন, সকল দপ্তরে এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি, টাইমস্কেল-সিলেকশন গ্রেড, শতভাগ পেনশন প্রথা পুনঃবহাল, আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রথা বিলোপ এবং আইএলও সনদ মোতাবেক গণকর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার প্রদানের জানান তিনি।
সংগঠনের অতিরিক্ত মহাসচিব মো. রোকনুজ্জামান ও জিল্লুর রহমান খানের যৌথ সঞ্চালনায় মোহাম্মদ আজিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়ক কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন।
এ সময় তিনি বলেন, বৈষম্য থেকে মুক্তির আকাঙ্খায় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হলেও এখনও গণকর্মচারীরা চরম বৈষম্যের শিকার, কর্মচারীরা যেন তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারে সেজন্য সরকারি চাকরি আইন সংশোধনসহ নানাবিধ কালাকানুন জারি করা হচ্ছে। তিনি এই নিবর্তন অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানান।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে সংগঠনের চেয়ারম্যান নোমানুজ্জামান আজাদ বলেন, কর্মচারীদের বহুল প্রত্যাশিত ৯ম বেতন কমিশন গঠন করা হলেও তার কাঙ্খিত অগ্রগতি দৃশ্যমান হচ্ছে না। তিনি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই বেতন কমিশনের প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত