খুলনা মহানগরীর ৭ নম্বর ঘাট এলাকায় মোংলা বন্দরের গুদামঘর ভাড়ায় দ্বৈতনীতিতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। নিয়ম ভেঙে গুদামঘর ও আশপাশের জমি আলাদাভাবে ভাড়া দেওয়ায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছন্দা এন্টারপ্রাইজ আদালতে মামলা ও কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ইয়াসমীন বেগম জানান, মালামাল লোড-আনলোডে নানা অনিয়মের কারণে খুলনার ঘাট এলাকায় একসময় ব্যবসায়িক শূন্যতা সৃষ্টি হয়। রুজভেল্ট জেটিতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ১, ২, ৩, ৫ ও ৭ নম্বর গুদামঘর ভাড়া নিয়ে তারা ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে পুনরায় ঘাট এলাকাকে জমজমাট করেছেন। কিন্তু মোংলা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের দ্বৈতনীতির কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তারা ব্যবসায়িক সুবিধার কথা বলে গুদামঘর ভাড়া দিয়েছেন। আবার গুদামঘরের বাইরের খোলা মাঠ ও মূল গেটের সামনের জমি আলাদাভাবে ভাড়া দিয়ে ব্যবসায়িক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন। এতে গুদামের বাইরে স্তূপীকৃত মালামালের কারণে গুদামঘর ব্যবহারকারীরা লোড-আনলোডে হয়রানিসহ আর্থিক লোকসানে পড়েছেন। জানা যায়, এর আগে কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়িক মন্দার কথা বলে ওই গুদামঘরের চুক্তি বাতিলের চিঠি দিলে ছন্দা এন্টারপ্রাইজ আদালতে মামলা করে। ওই মামলায় ঘাট এলাকায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এদিকে মোংলা বন্দরের ট্রাফিক অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গুদামঘরের আশপাশের জমি আলাদাভাবে ভাড়া দেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি এ ধরনের হয়রানি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান। ব্যবসায়ীরা ঘাট এলাকার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।