শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

বরিশালে দম্পতিকে পেটালেন দারোগা উৎকোচ আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালে শিশুসন্তানসহ এক দম্পতিকে থানায় নিয়ে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ২৫ হাজার টাকা উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানায় এ ঘটনা ঘটে। তবে বিমানবন্দর থানা পুলিশ এক দম্পতিকে সন্দেহবশত থানায় নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও মারধর কিংবা উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নের বাসিন্দা মিঠুন সিকদার স্ত্রী সানজিদা নীপা ও চার বছরের ছেলে জুনায়েদকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাসযোগে মঙ্গলবার ভোরে বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে নামেন। পরে তারা টার্মিনালসংলগ্ন নিঝুম নামে একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন।

 মিঠুন সিকদার জানান, বাকেরগঞ্জ উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার দফতরে একটি শালিস বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি বরিশালে আসেন। মঙ্গলবার সকালে স্ত্রী ও সন্তানকে হোটেলকক্ষে রেখে মিঠুন বাকেরগঞ্জ যান। বেলা আনুমানিক ১২টার সময় সানজিদা মুঠোফোনে তাকে (মিঠুন) জানান, হোটেলে পুলিশ এসেছে। মিঠুন অভিযোগ করেন, বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক সাইদুর রহমান সাঈদ হোটেলকক্ষে গিয়ে সানজিদাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন। এ সময় মিঠুন এসআই সাঈদুরের সঙ্গে ফোনে কথা বলে তারা বিবাহিত জানালেও সাঈদ উল্টো ভয়ভীতি দেখিয়ে সানজিদা ও শিশু জুনায়েদকে থানায় নিয়ে যান। মিঠুন সিকদারের অভিযোগ, স্ত্রী-সন্তানকে থানায় নেওয়ার খবর জেনে তিনি বাকেরগঞ্জ থেকে সরাসরি বরিশাল এসে বিমানবন্দর থানায় যান। থানায় যাওয়ার পর তাকে এসআই সাঈদ আলাদা একটি কক্ষে নিয়ে মারধর করেন এবং মুক্তির জন্য ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন। স্ত্রী ও সন্তানকে আলাদা একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল। খবর পেয়ে মিঠুনের বড় ভাই দুলাল সিকদার ও সানজিদার বাবা নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর থানায় গেলে এসআই সাঈদ মিঠুন দম্পতি ও শিশু জুনায়েদকে ছেড়ে দিতে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সন্তানসহ মুক্ত হন মিঠুন দম্পতি। তবে ছেড়ে দেওয়ার আগে পুলিশ তাদের ছবি তুলে রাখে এবং সাদা কাগজে নাম-ঠিকানা লিখে তাতে দুজনের স্বাক্ষর রেখে দেয়। এদিকে উপপরিদর্শক সাইদুর রহমান সাঈদ নিঝুম হোটেলে গিয়ে সানজিদা ও তার শিশুসন্তান জুনায়েদকে থানায় নিয়ে আসার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সানজিদার কথাবার্তায় অসংলগ্নতা পাওয়ায় সন্দেহবশত তাকে থানায় নেওয়া হয়। তবে মারধর ও উৎকোচের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাঈদ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর