শনিবার, ১ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

কোনো দিন ধূমপান করিনি : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমি বাবাকে দেওয়া ওয়াদা অনুযায়ী কোনো দিন ধূমপান করিনি। আমার বন্ধুবান্ধব অনেক চেষ্টা করেছেন আমাকে ধূমপান করানোর জন্য। কিন্তু আমি একটা টানও দিইনি। কারণ একটা খাওয়ার পর যদি ভালো লেগে যায়, আর যদি ছাড়ুতে না পারি সিগারেট, তাই কোনো দিন সিগারেট খাইনি।’

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন মিলনায়তনে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০১৯ উপলক্ষে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ ছাড়া জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত মেহেদি অনুষ্ঠানও তিনি উদ্বোধন করেন। মানসের অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে অনেক স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও তরুণ ছেলেমেয়ে এসেছে দেখে আমার ভালো লাগছে। এখানে উপস্থিত সবাইকেই কথা দিতে হবে তোমারাও কোনো দিন ধূমপান করবা না।’

‘তামাকে হয় ফুসফুস ক্ষয়, সুস্বাস্থ্য কাম্য তামাক নয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মানসের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. জাফর উদ্দিন প্রমুখ। এ ছাড়া গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল ও ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও এ সভায় অংশ নেন।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘সরকারের ভুলের সমালোচনা আপনারা অবশ্যই করবেন। কিন্তু গৎবাঁধা সমালোচনা করে, প্রতিদিন একই সাইরেন বাজিয়ে নিজেদের হাসির পাত্র করবেন না।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্য উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন দেশ নাকি দুর্নীতি-দুঃশাসন-অপশাসনে নিমজ্জিত হয়েছে। আমি বলতে চাই, যদি সুশাসন না থাকত, দেশ আজকে এত দূর এগিয়ে যেত না। আজকে বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ লাখ টন চাল রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা আমরা এ বছর স্থির করেছি। সুশাসন আছে বলেই দেশ আজ উন্নত হয়েছে।’

মেহেদি উৎসব : এদিকে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে মেহেদি উৎসবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে রয়েছে মেহেদি উৎসব। আমাদের দেশে একসময় বিয়ের আগে এবং ঈদ বা বিভিন্ন ধর্মীয় ও পারিবারিক উৎসবের আগে রাত জেগে মেহেদি লাগানো হতো। প্রায় প্রতি বাড়িতেই তখন মেহেদি গাছ ছিল। এখনো অনেক বাড়িতে মেহেদি গাছ আছে। তবে তা আগের চেয়ে কমে গেছে।’ এ সময় ঐতিহ্যবাহী মেহেদি উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় জাতীয় প্রেস ক্লাব ও ‘ঢাকাবাসী’-কে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স লাউঞ্জে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মেহেদি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও যৌথ উদ্যোগে মেহেদি উৎসবের আয়োজন করেছে জাতীয় প্রেস ক্লাব ও ঢাকাবাসী সংগঠন। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উৎসবের উদ্বোধন করেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আমেরিকান দূতাবাসের কালচারাল অফিসার ইসাবেল জোলডোস, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাইনুল আলম, ঢাকাবাসীর সভাপতি শুকুন্ডর সালেহ প্রমুখ। এর আগে উৎসবে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে মেহেদি লাগানোর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

সর্বশেষ খবর