বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ দেখিয়েছে উন্নয়নই ঘুরে দাঁড়ানোর সেরা উপায়

মন্তব্য বিশ্বব্যাংক সিইওর

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাধীনতার পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে বিশ্বব্যাংকের সিইও ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেছেন, উন্নয়নই যে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা অর্জনের সবচেয়ে সেরা উপায় তা বাংলাদেশ করে দেখিয়েছে।

গতকাল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ঢাকা মিটিং অব দ্য গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কমিশনের চেয়ারম্যান জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে বান কি মুন ও ক্রিস্টালিনা জর্জিভা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

জর্জিভা বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন আমি হাইস্কুলে পড়তাম। তখন থেকেই আমি এ দেশে আসার স্বপ্ন দেখতাম। বাংলাদেশের সফলতার কথা বলতে গিয়ে বিশ্বব্যাংকের সিইও বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশ যেভাবে সাফল্য অর্জন করেছে, তাতে আমি মুগ্ধ। মানুষের মাথাপিছু আয় ১০০ ডলার থেকে বেড়ে ১৫০০ ডলার হয়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার পথে ভালোভাবেই রয়েছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি। দেশটি বিশেষত নারীর ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমিয়ে আনতে পেরেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সামনের দিকে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন জর্জিভা।

মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মনে করেন তিনি। নিজেদের অনেক সমস্যা থাকার পরও পালিয়ে আসা (রোহিঙ্গা) নাগরিকদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতার দৃষ্টান্ত রেখেছে, তাতে আমি অভিভূত। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশ যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, তাই এখানকার মানুষকে কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যায় সে উপায় বের করতেই ঢাকায় এ আয়োজন বলে জানান বিশ্বব্যাংক সিইও। তিনি বলেন, আমাদের নষ্ট করার মতো সময় এখন নেই। আমরা যদি আমাদের জানমাল রক্ষা করতে চাই, তাহলে আমাদের অভিযোজন ক্ষমতা বাড়াতে হবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য।

বিশ্বব্যাংক সিইও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির সূচকে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ছিল প্রথম স্থানে। কিন্তু এটি এমন একটি স্থান যেখানে পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা নাগরিকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় তার অবিশ্বাস্য উদ্ভাবনী দক্ষতা আমরা এখানে দেখেছি। বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগী হতে পেরে বিশ্বব্যাংক গর্বিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর