বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

আধুনিক এলাকা গড়ার প্রত্যয় প্রার্থীদের

মোস্তফা কাজল

আধুনিক এলাকা গড়ার প্রত্যয় প্রার্থীদের

রাস্তাঘাটের সংস্কার, স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসন, মাদকমুক্ত সমাজ, পরিকল্পিত আবাসন, শিক্ষাবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ও একটি আধুনিক ওয়ার্ড গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ জন সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী। ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নাগরিক সেবা নিশ্চিত ও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে চান তারা। ডিএনসিসির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান কাউন্সিলর মো. কাজী টিপু সুলতান, শাহ-আলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম মোল্লা, শাহ আলী থানা জাতীয়তাবাদী যুবদল সাধারণ সম্পাদক মো. সোলায়মান দেওয়ান ও বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী মো. তাজুল ইসলাম দেওয়ান। এ ওয়ার্ডটি ঢাকা মহানগরের অন্যতম আবাসিক এলাকা ও ঘনবসতিপূর্ণ। অভ্যন্তরীণ রোডগুলো খুবই সরু ও ঘিঞ্জি। এ ওয়ার্ডে সাড়ে ৮ হাজার হোল্ডিংয়ে প্রায় সোয়া দুই লাখ মানুষের বসবাস।  ভোটার ৪২ হাজার। মিরপুর সেকশন-১ এর এ, বি, সি ও ডি ব্লক নবাবের বাগ, গড়ান চটবাড়ি, গুদারাঘাট, চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ  দেশ সেরা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে এ ওয়ার্ডে। এ ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যা রাস্তাঘাট ভাঙাচোরা, জলাবদ্ধতা ও মাদকের উৎপাত। এ ওয়ার্ডের কিছু সড়ক ভাঙাচোরা। কিছু কিছু রাস্তা চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে সম্প্রতি। সুয়ারেজ ও  ড্রেনেজ ব্যবস্থার সমস্যা তো রয়েছেই। বিশেষ করে হযরত শাহ আলী (রহ.) মাজার শরিফের আশপাশের কিছু এলাকা ড্রেনেজব্যবস্থা নাজুক। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় পুরো এলাকা। এ ছাড়া রয়েছে মাদকের উৎপাত। বিশেষ করে বেড়িবাঁধ, গুদারাঘাট, নবাবের বাগসহ কয়েকটি এলাকায় নিয়মিত মাদক বিক্রি ও সেবন চলে। ডিএনসিসির ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কাজী টিপু সুলতান বলেন, আবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে মাতৃসদন, নারীদের জন্য প্রশিক্ষণ সেন্টার, রাস্তা উন্নয়নের পাশাপাশি মাদক নির্মূলে কাজ করব। ওয়ার্ডকে আধুনিক ওয়ার্ড হিসেবে রূপান্তরিত করব। শাহ আলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম মোল্লা বলেন, আওয়ামী লীগ যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় ও নির্বাচিত হই, তাহলে ওয়ার্ডে যেসব সমস্যা আছে বিশেষ করে রাস্তাঘাট সংস্কার, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত এবং সিসি ক্যামেরা, নাইট গার্ড ও প্রতিটি এলাকায় নিরাপত্তা গেট স্থাপনের মাধ্যমে একটি আধুনিক ওয়ার্ড করার পরিকল্পনা আছে। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. তাজুল ইসলাম দেওয়ান বলেন, মনোনয়ন   পেলে এবং ওয়ার্ডবাসী সেবা প্রদানের সুযোগ দিলে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাব। সেক্ষেত্রে সবার আগে নাগরিক সুযোগ-সুবিধার জন্য রাস্তাঘাট সংস্কার, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। বিএনপির প্রার্থী ও থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. সোলায়মান দেওয়ান বলেন, মামলা কাঁধে নিয়ে এলাকার জন্য কাজ করছি। আমাকে মনোনয়ন দিলে, আর যদি নির্বাচিত হই। তাহলে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাব। বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর