বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেনের দাফন গত শুক্রবার রাতে তাঁর গ্রামের বাড়িতে সম্পন্ন হয়েছে। বাগেরহাট-১ ও ৪ আসন থেকে মোট ৫ বার নির্বাচিত এই এমপি গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি কিডনিসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। ’৭৯ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রথম নামাজে জানাজা শেষে ওইদিন বেলা পৌনে ১টায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে তাকে বাগেরহাটে নিয়ে আসা হয়। শ্রদ্ধা জানাতে তার মরদেহ বাগেরহাট শহরের রেলরোডের আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে রাখা হয়। এরপর বাগেরহাট স্টেডিয়ামে জুমাবাদ দ্বিতীয়, মোরেলগঞ্জ এসি লাহা স্কুল মাঠে তৃতীয় এবং তার গ্রামের বাড়ি একই উপজেলার কচুবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে রাতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে ডা. মোজাম্মেলের দাফন সম্পন্ন হয়।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুুল খালেক, আক্তারুজ্জামান এমপি, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুন আর রশীদ, বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামরুজ্জামান টুকু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য আমিরুল আলম মিলন, বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগসহ সরকারি-বেসরকারি পদস্থ কর্মকর্তাসহ কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ জানাজায় অংশ নেন। এর আগে বাগেরহাটে লাশ এসে পৌঁছালে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানসহ সরকারি-বেসরকারি ও দলীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁর কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
বর্ষীয়ান নেতা মো. মোজাম্মেল হোসেন ১৯৪০ সালের পয়লা আগস্ট বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার কচুবুনিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, পুত্রবধূ, নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার একমাত্র ছেলে অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি।