রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ১০ চিকিৎসকের মধ্যে এখন আছে মাত্র এক। ১০ পদের মধ্যে ৯ পদই শূন্য রয়েছে। এদিকে চিকিৎসক সংকটে চরম দুর্ভোগে পড়েছে রোগীরা। চলতি মৌসুমে গত সোমবার পর্যন্ত শীত নিবারণের আগুনে দগ্ধ হয়ে রমেকের বার্ন ইউনিটেই মৃত্যু হয়েছে আট নারী ও দুই শিশুসহ ১৬ জনের। ভর্তি আছে ৩৪ জন ।
সাত চিকিৎসক ও তিন অধ্যাপক ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও একজন চিকিৎসক ও কিছু শিক্ষানবিশ দিয়ে চলছে এই বিভাগটি। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের সেবা দেওয়ার জন্য রয়েছে মাত্র একজন চিকিৎসক। এছাড়া কিছু শিক্ষানবিশ চিকিৎসক আর আয়ারা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। ফলে গুরুতর আহত রোগীরা এখানে সঠিক পরিচর্চা পান না।
এদিকে বার্ন ইউনিটের কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ‘বার্ন ইউনিটে ভালো সেবা নেই। চিকিৎসক নেই। চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। স্যালাইন ছাড়া হাসপাতাল থেকে আর কিছুই দেওয়া হয় না। তবে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা এসে মাঝে মধ্যে খোঁজখবর নিয়ে যান। বার্ন ইউনিট ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এম এ হামিদ পলাশ বলেন, ‘মোট ১০ পদ থাকলেও এখানে শুধু আমি একাই কাজ করছি। তবে মাঝে মধ্যে আন-অফিসিয়ালি আরেকজন ডাক্তার এসে কাজ করেন। আমরা রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্যই সবসময় কাজ করছি। প্রয়োজনীয় ওষুধ ছাড়াও নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’ রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম জানান, বার্ন ইউনিটের শূন্য পদে পদায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানানো হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত শূন্যপদগুলোতে পদায়ন করা হবে।