দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন- ইউজিসির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এতে জটিলতা বাড়বে বৈ কমবে না।
গতকাল ডাকসু ভবনে আয়োজিত ‘সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা : ছাত্র-শিক্ষকদের ভাবনা ও প্রস্তাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এই মত ব্যক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুশাদ ফরিদী, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর, সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ভিপি নুরুল হক বলেন, সামগ্রিক বিবেচনায় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা একটি ভালো উদ্যোগ হলেও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এটি বাস্তবায়নযোগ্য নয়। ড. রুশাদ ফরিদী বলেন, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার দিনে যদি কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে বা কোনো কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারে, তাহলে সারাজীবনের জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হারাবে। এর দায় কে নেবে?
‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কীভাবে তাদের শিক্ষার্থী বাছাই করবে-তা নির্ধারণ করে দেওয়া ইউজিসির কাজ নয়’ উল্লেখ করে সভায় শিক্ষার্থীরা বলেন, সমন্বিত পরীক্ষা চাপিয়ে দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের ধারণা পরিপন্থী। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের সুযোগ বেড়ে যাবে। এই পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে কিনা তাও বলা হয়নি। তবে সমন্বিত পদ্ধতির পরিবর্তে ফরমের মূল্য হ্রাস, তারিখ ও এলাকা সমন্বয়ের মাধ্যমে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষা একসঙ্গে অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দেন শিক্ষার্থীরা।
