র্যাগিং একটি ফৌজদারি অপরাধ, তাই এ অপরাধের জন্য ফৌজদারি আইনে মামলা হতে বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছে হাই কোর্ট। গতকাল শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষে এ সংক্রান্ত নীতিমালার খসড়া দাখিলের পর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করে। র্যাগিং রোধে কঠোর আইন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জানান, এখন থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থী গুরুতর অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষে এ সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা হাই কোর্টে উপস্থাপন করেছি। ওই আইনে উত্ত্যক্তের পাশাপাশি র্যাগিং শব্দটি যোগ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ছাত্রী অরিত্রী আত্মহত্যার ঘটনায় চলমান রিটের শুনানিতে এ খসড়া নীতিমালা দাখিল করা হয়।
নবীনবরণ বা এ জাতীয় অনুষ্ঠানে র্যাগিং হয় উল্লেখ করে হাই কোর্ট বলেছে এ জন্য এটি বন্ধে কঠিন আইন করতে হবে। এ ধরনের ব্যবস্থা না থাকায় আবরার হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা ঘটেছে বলেও মন্তব্য করে আদালত।