জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, যত দিন যাবে মানুষ উপলব্ধি করতে পারবে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অবদান। কোটি মানুষের জন্য কল্যাণময় কাজ করলেও কিছু সুবিধাভোগী মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। তারাই এরশাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন। সুবিধাভভোগী গোষ্ঠীর অপপ্রচার ও কুৎসা রটনাকালেও ১৯৯১ ও ’৯৬ সালের দুঃসময়ে পাঁচটি করে আসনে নির্বাচিত হয়ে অনন্য রেকর্ড করেছেন। গতকাল বনানী অফিসে জাতীয় যুবসংহতি ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এইচ এম এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ফজলুল হক ফজলুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। উপস্থিত ছিলেন সুনীল শুভরায়, ফখরুল আহসান শাহজাদা, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, মঞ্জুরুল হক মঞ্জু প্রমুখ।
জি এম কাদের বলেন, মানুষ মূল্যায়ন করতে শুরু করেছে পল্লীবন্ধুর কল্যাণময় কীর্তি। তিনি ছিলেন একজন সফল মানুষ। উপজেলা পরিষদ সৃষ্টি করে শহরের সেবা তৃণমূল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন।
এইচ এম এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির সভাপতি ইসহাক ভূইয়ার উদ্যোগে গতকাল বনানীতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে রেজাউল করীম বাসেত, হারুনুর রশীদ, অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া জাপার যুগ্মসাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও জাতীয় হিন্দু মহাজোট ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পক্ষ থেকে শ্যামপুর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ গোস্বামী মন্দিরে এরশাদ স্মরণে আয়োজন করা হয় বিশেষ প্রার্থনা ও স্মরণ সভার। বক্তব্য দেন হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, সুজন দে, ডি কে সমির, ইন্দ্রজিৎ দেসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ। জাপার যুগ্মমহাসচিব নোমান মিয়ার উদ্যোগে মাওয়া বাজার রোড মসজিদে দিনব্যাপী কোরআন খতম শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। শাহজামাল কালুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।