বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ক্ষমা না চাইলে বিষ দাঁত ভেঙে দেওয়া হবে

-মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। নইলে সেই উদ্ধতদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে। এ জন্য কী করতে হবে তা আমরা জানি। মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র জমা দিয়েছেন, কিন্তু ট্রেনিং জমা দেননি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিসর্জন দেননি। মন্ত্রী গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত নাট্যজন আলী যাকের ও ফুটবল তারকা বাদল রায়ের এক স্মরণসভায় বক্তৃতা করছিলেন। সংগঠন উপদেষ্টা চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ও জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় গায়ক এস ডি রুবেল,  মুক্তিযোদ্ধা নেতা শফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ সভাপতি লায়ন গনি মিয়া বাবুল, সাংবাদিক রেদোয়ান খন্দকার বক্তব্য দেন।

 

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে কিছু লোক ধর্মের নামে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে উক্তি করেছেন, তার প্রতিবাদের ভাষা জানা নেই। বিশে^র মুসলিম অধ্যুষিত দেশেগুলোয়ও ভাস্কর্য রয়েছে। এমনকি পাকিস্তানেও ভাস্কর্য রয়েছে। শুধু তাই নয়, গাজীপুরসহ সারা দেশে হাজার হাজার ভাস্কর্য রয়েছে, তা নিয়ে তারা কথা না বলে, হঠাৎ করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলছেন। এটা কীসের ইঙ্গিত? এগুলো তারা কার নির্দেশে বলছেন। ধর্মের যারা অপব্যাখ্যা দেয়, সেই অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে। তাদের বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে হবে; জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ধর্ম তাদের কাছে লিজ দেওয়া হয়নি। তাই আলেমসমাজকে কথা বলতে হবে, না হলে মানুষ ধরে নেবে ইসলামে জঙ্গিবাদের কথা আছে। যারা জঙ্গিবাদের কথা বলেন, তারা ইসলামের শত্রু। মানবতার শত্রু।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে যারা ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে, এটি সরকারকে খতিয়ে দেখা উচিত। একই সঙ্গে তথ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করব বিশে^র বিভিন্ন দেশে যে ভাস্কর্য রয়েছে সেগুলো টেলিভিশনে দেখানোর জন্য। বঙ্গবন্ধু কোনো যদু-মধু নন। তিনি বাংলাদেশের স্থপতি। তাঁর ভাস্কর্য নিয়ে তারা বক্তব্য দিয়েছেন, এটা কত বড় ধৃষ্টতা। তাদের এজেন্ডা কী? তাদের উদ্দেশ্য কী? তারা ১৯৭৫-এর মতো ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। কিন্ত ’৭৫ আর ২০২০ এক নয়।

আলী যাকের ও বাদল রায়কে স্মরণ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আলী যাকের ছিলেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সম্রাট। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে তিনি ইংরেজি সংবাদ পাঠ করতেন। তাঁর বলার ভঙ্গিমায় আমরা আন্দোলিত হতাম। যখন জাতির দুঃসময় ছিল তখন তিনি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতির দায়িত্ব সাহসিকতার সঙ্গে পালন করেন। তিনি ছিলেন অকুতোভয় এক সৈনিক। বাদল রায় শুধু ফুটবল তারকাই ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন সংগঠক ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাহসী সৈনিক। তিনি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এ দুজন ব্যক্তি ছিলেন পাহাড়সমান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর