রবিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁর পিতা মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সৈয়দ আশরাফ বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর একজন সদস্য হিসেবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সৈয়দ আশরাফ ১৯৭০ সালে তৎকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরে স্বাধীনতার পর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন ছাড়াও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১/১১-এর সময় আওয়ামী লীগের সংকটকালে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দক্ষতা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে  দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখাসহ কারাবন্দী দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রয়াত এই নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।  সৈয়দ আশরাফ ২০০৯ সালে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের সম্মেলনে তিনি টানা দ্বিতীয়বার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ২০১৬ সালের সম্মেলনে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ওয়ান-ইলেভেন ও হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের মতো সংকটকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সৈয়দ আশরাফ।

কারাগারে পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার হত্যাকান্ডের পর ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর সৈয়দ আশরাফ যুক্তরাজ্য চলে যান। প্রবাস জীবনে যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় সৈয়দ আশরাফ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জনপ্রশাসনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ী হন সৈয়দ আশরাফ। তবে শপথ নেওয়ার আগেই মারা যান তিনি। সৈয়দ আশরাফ এক কন্যার জনক। তাঁর স্ত্রী শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের অক্টোবরে মারা যান।

সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। 

আওয়ামী লীগ ছাড়াও দলের সহযোগী সংগঠন, সামাজিক সংগঠনগুলো সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা, শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর