ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে মাঠজুড়ে বোরো ফসলের খেত সবুজে ভরে উঠেছে। সুশোভিত বোরোর খেত দেখে মনে হবে এ যেন আবহমান বাংলার উদ্ভাসিত রূপ। চোখ জুড়ানো দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠে সবুজের সমারোহ হৃদয়কে নাড়িয়ে দেয়। মাঠে মাঠে দোলা খাচ্ছে চলতি মৌসুমের বোরো ধানের গাছ। কৃষকদের মনে দোলা দিতে থাকে অনাবিল আনন্দও। কৃষকরা প্রথম দফার ধানের নিড়ানির কাজ শেষ করেছেন। বর্তমানে চলছে দ্বিতীয় দফার নিড়ানি, সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কাজ। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে রোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ধানের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা সদরের তারাগন, দেবগ্রাম, খড়মপুর, দুর্গাপুরসহ উপজেলার মোগড়া, মনিয়ন্দ, ধরখার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বোরো খেতে সবুজের সমারোহ। যে দিকে চোখ যায় মাঠে শুধু ধান খেত চোখে পড়ে। ইতিমধ্যে কোনো কোনো জমিতে ধানের শীষ বের হতে শুরু হয়েছে। সঠিক সময়ে চারা রোপণ, নিবিড় পরিচর্যা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, যথা সময়ে সেচ ও সার দেওয়া সবই করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।

কৃষি অফিস বলছে, তারা রোগবালাই ও পোকামাকড় হতে ফসল রক্ষায় মাঠে মাঠে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কৃষকদের সার্বিকভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছেন। তারাগনের কৃষক মো. আলম খাঁ বলেন, তিনি প্রতি বছরের মতো এ বছর প্রায় ১২ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। ফসলের পরিচর্যার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন পর্যন্ত তেমন বড় ধরনের রোগবালাই দেখা যায়নি। জমির অবস্থা ভালো, ভালো ফলনের আশাবাদী তিনি।

উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. জহিরুল হক বলেন, এ উপজেলার প্রায় সব মাঠেই বোরো ধানের চাষ হয়ে থাকে। অনুকূল আবহাওয়া, প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ, চাহিদানুযায়ী কৃষি উপকরণ সরবরাহের কারণে অধিক আগ্রহের সঙ্গে কৃষকরা বোরো চাষ করেছেন। এ ছাড়া ফলন ভালো রাখতে প্রতিনিয়ত কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ফসলের অবস্থা ভালো আছে। শেষ পযর্ন্ত আবহাওয়া অনুকূল থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করা যায়।