সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
টু ক রো খ ব র

উদ্বোধন হলো ১৭ মিলিয়ন ডলারের উদ্যোক্তাবান্ধব তহবিলের

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা মহামারী প্রতিরোধে দেশের যেসব প্রতিষ্ঠান পিপিইসহ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদন করছে, তাদের উৎসাহ দিতে ১৭.৫ মিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল ভার্চুয়াল মাধ্যমে ‘কভিড-১৯ উদ্যোক্তাবান্ধব তহবিল’ শীর্ষক এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, কভিড-১৯ বিশ্বের অর্থনীতিকে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। মানুষের জীবন বাঁচাতে এখন ব্যক্তিগত সুরক্ষা পণ্যের খুবই প্রয়োজন।

 তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক করোনা প্রতিরোধী মেডিকেল ইকুইপম্যান্ট উৎপাদনে সহযোগিতা দিতে এগিয়ে এসেছে। এ অনুদানের মাধ্যমে ওষুধ সামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো উৎসাহিত হবে। কেবল স্থানীয় বাজারের জন্য নয়, বৈদেশিক বাজারে রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তারাও এ কর্মসূচির মাধ্যমে সুবিধা পাবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প এবং বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেমপন।

সালমান এফ রহমান বলেন, সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ রপ্তানির বৈচিত্র্য বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান তৈরি করা, এই প্রকল্প সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে। কভিড-১৯ এন্টারপ্রাইজ রেসপন্ড ফান্ডের (সিইআরএফ) মাধ্যমে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য বিশ্ববাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের আওতায় মেডিকেল অ্যান্ড পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (এমপিপিই) পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই তহবিল থেকে সহায়তা দেওয়া হবে।

এমপিপিই পণ্য সামগ্রী উৎপাদনে সক্ষম প্রতিষ্ঠানগুলো এ অনুদান পাওয়ার যোগ্য হবে। এ অনুদানের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৫ লাখ ডলার এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার ডলার। অনুদানের জন্য আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিভুক্ত হলে এ প্রকল্প থেকে ৬০ শতাংশ আর আবেদনকারীর অংশগ্রহণ থাকবে ৪০ শতাংশ। এ ছাড়া বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে অনুদানের পরিমাণ হবে ৫০ শতাংশ। যেসব পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে এ অনুদান প্রযোজ্য হবে তা হলো- পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), ডায়াগনস্টিক ইকুইপমেন্ট, ক্লিনিক্যাল কেয়ার ইকুইপমেন্ট, এমপিপিই পণ্যের ডিজাইন ও কারিগরি মানের উন্নয়ন, প্যাকেজিং ও বৈচিত্র্য আনয়ন এবং ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন প্রণয়ন, এমপিপিই পণ্যের সহায়তামূলক কর্মকাণ্ড যেমন, গবেষণা, পণ্য উন্নয়ন, টেস্টিং ও সার্টিফিকেশন এবং নতুন উদ্ভাবন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর